যাচ্ছিলাম অফিসে আমার মোটরসাইকেলে বেশি দুরে না কাছেই বাড়ি থেকে পায়ে হেঁটে গেলে পাঁচ মিনিট লাগে হেঁটেই যেতাম রাত-দিনে কারখানাতো তাই শিফটে ডিউটি সাত দিনের ছকে বাঁধা ডিউটি রোস্টারে। দেরি করা যায় না দেরি করলে কারখানা গেটে জবাবদিহি করতে হয় এবং আগের শিফটের কর্মিরা প্রতিক্ষায় থাকে ঘরে ফেরার জন্য এবং শিফটে চলমান অবস্থা বুঝিয়ে দেবার জন্য নিতাম এবং দিতাম এভাবেই চললাম দুই বছর তার পর এক দিন একটি অফিসিয়াল চিঠি পেলাম আমাকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে কারা হয়েছে কারখানা থেকে অফিসে হিসাব বিভাগে জুনিয়র ক্যাশিয়ার হিসেবে চলছিল পেটিক্যাশ, বেতন-ভাতা, বিভিন্ন বিল প্রদান,পার্টি লেজার দেখা ইত্যাদি ইত্যাদি বয়স বাড়লো কাজের চাপ বাড়লো মোটরসাইকেলে হলো। এই মোটরসাইকেলটি হলো LML Freedom 110cc খুব ভালো গাড়ি ওজন একটু বেশি চালাতাম মাসে ১৫০০ থেকে দুই হাজার কিলোমিটার। সেদিন মোটরসাইকেলটি মাঝ রাস্তায় থেমে গেল কেন থামলো ভাবছিলাম তেল রাতে নিয়েছি থামারতো কথা না প্লাগ(ignition) পরিস্কার করলাম অয়েল ফিল্টার পরিস্কার করলাম কাজ হলোনা
ট্যাঙ্কের ঢাকনা খুলে দেখি আমার ট্যাঙ্কের তেল নেই কোথায় গেল পেট্রোল পাম্পে আমাকে তেল দেয়নি শুধু শো করছে বা বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল যা আমার অনুধাবনে আসেনি আমি আমার যত টুকু ছিল তা নিয়ে চলে এসেছিলাম এবং ভারি গাড়ি টি আমাকে অফিস পর্যন্ত ঠেলে নিয়ে আসতে হয়েছিল।
অন্যের জন্য অনাকাঙ্খিত নিজের কষ্ট ,,,,
চলছে,,
উত্তরমুছুনচলছে এবং চলবে,,
উত্তরমুছুন