RH

১১ জানুয়ারী ২০১৯

কষ্টিকাম হোমিওপ্যাথি ঔষধ।

Causticm.
 কষ্টিকাম- পটাশিয়াম হাইড্রেট।
কালো চুল, কালো চোখের তারা, শরীরের রং হলুদ বর্ণের এবং মুখ মন্ডল ফ্যাকাশে,দীর্ঘ কাল শোক দুঃখ জর্নিত বিষন্ন, ভাবনা গ্রস্থ ও আশংকা যুক্ত। মানসিক আবেগ ও কল্পনা প্রবল। মুখ মন্ডলে আঁচিল নিরেট, ক্ষুদ্র ও থ্যাবড়ানো Warts, আঙ্গুলের ডগায়, নাকে, ভ্রুতে। খাদ্য দেখিলে ক্ষুধা চলে যায়। ঢেকুর,বমন, আহারের পর তৃষ্ণা।

ক্রিয়া স্থল- ঠান্ডা জর্নিত কারণে স্নায়ু সমুহের পক্ষাঘাত। দীর্ঘ কাল শোক,রোগ জর্নিত কারণে মস্তিষ্ক, মেরুমজ্জা ও শ্লৈমিক ঝিল্লির দূর্বলতা উৎপন্ন করে এবং পাকস্থলীর ক্রিয়ার বৈলক্ষণ সৃষ্টি করে।

ডাঃ জেমস টাইলার ক্যান্ট বলেছেন, কষ্টিকাম একটি অনুসন্ধান সাপেক্ষ ঔষধ।পুরাতন রোগ ভোগকারী,বৃদ্ধ ,ভগ্ন স্বাস্থ্যের ধাতুতে উপযোগী। কেবল মাত্র কখনো কখনো ইহা তরুণ রোগে প্রযোজ্য হয়। 
*ঘ্রাণে চিকিৎসা পদ্ধতি link- bit.ly/2Mtqgmv


কষ্টিকামে উম্মাদ রোগ আরোগ্য লাভ করে।
শিশু বিলম্বে হাঁটতে ও কথা বলতে শেখে।
শিশু বিছানায় প্রস্রাব করে।
শিশুর দাঁত গজানোর সময় বিভিন্ন পীড়ার উৎপত্তি হয়।

মুখ- মুখ হা করিতে পারে না, চোয়াল শক্ত। কথা উচ্চারণ করিতে পারে না মুখের একদিকে বাঁকা মুখের অত্যন্ত ভাগ ঈষৎ হলুদ বর্ণের এবং মুখের ভিতর ক্ষত।

জিহ্বা- জিহ্বার মধ্য ভাগ লাল বর্ণের ও ধার সাদা।

দাঁত- মাড়ি ফোলে, রক্ত পড়ে, দাঁত নড়ে,যে দাঁতের ক্ষত সেটির পাশের অন্য দাঁতের ব্যথা অনুভূত হয়। গালে কামড় পড়ে।

নাক- নাকে চুলকানি, আঁচিল ও নাক দিয়ে রক্ত পড়ে। নাকে খাদ্য প্রবেশ করে।

কান- কানে ভালো মতো শুনতে পায় না। সর্বদাই ভো ভো, কো কো, শো শো,টুং টুং, ঠুন ঠুন, শব্দ হয়। নিজের কথা নিজের কানে প্রতিধ্বনিত হয়। সর্দি জর্নিত বধিরতা। কানে ব্যথা।

গলা- স্বর ভঙ্গ। চিৎকার করিতে পারে না। গলায় ব্যথা, কাশি। কাশিতে কাশিতে প্রস্রাব করে। সকাল বেলা স্বরভঙ্গ। শীত কালে স্বরভঙ্গ। ফুসফুসে ব্যথা, ক্ষত রোগ এবং জ্বালা কষ্টিকামের বিশেষত্ব।
ডাঃ জি সেন্টন বলেন,কষ্টিকামে কথা কহিলেন স্বর ভঙ্গ কমে ফসফরাসে কথা কহিলে বাড়ে।
ডাঃ হেরিং বলেছেন, ছানিতে Cataract  যেখানে কষ্টিকাম  প্রয়োজন, সেখানে রোগী  সর্বদাই চোখে হাত দেয়। চোখ রগড়ায় কারণ তাহাতে চোখের ভার বোধ লাঘব হয়।
ডাঃ নটন ও ডাঃ এলেন বলেছেন ছানি রোগে ও গন্ডমালা জনিত রোগে কষ্টিকাম উপকারী। 
ডাঃ ন্যাস বলেছেন, বাত বেদনায় সালফার,কষ্টিকাম রাসটস্ক এই তিনটি ঔষধি যথেষ্ট। 
ডাঃ ডানহাম বলেছেন, স্কন্ধদেশে বেদনা, স্কন্ধের ত্রিকোণ পেশীর পক্ষাঘাত সেই জন্য মস্তিষ্কে হাত তুলিতে অসমর্থ,উরু ও হাঁটু বেদনা,রোগী বেদনা স্থানটি অনবরত নাড়াচাড়া করে কিন্তু তাহাতে উপশম হয় না।
ডাঃ জার বলেছেন,যে সমস্ত রোগী ঠান্ডা পানি পান করিলে উপশম লাভ করে তাহাদের জন্য কষ্টিকাম এবং যাহারা পূণরায় আক্রান্ত হন তাহাদের জন্য ক্যালকেরিয়া উপযোগী। 
জ্বর- ভয়ানক শীত। এত শীত যে লেপের উপর লেপ চাপ দেয়। রাত্রির দ্বী-প্রহরে শীত ও মুখ হইতে  কম্পন আরম্ভ হয়। শীতের পরে ঘাম।
মাথা ব্যথা, উপরে দেখিলে বাম দিকে পড়ে যায়।

পক্ষা ঘাত ডান দিকে।

প্রস্রাব- প্রস্রাবের বেগ ধারণ করিতে পারে না। চলতে চলতে প্রস্রাব নিঃসরণ। প্রস্রাবে তলানী,কালচে,ঘোলা বা ধোয়ার মতো। কষ্টিকাম মহিলাদের জন্য আশ্চর্য ঔষধ।
স্ত্রী রোগ- ঋতু স্রাব অত্যন্ত দেড়ীতে প্রকাশিত হয় কিন্তু স্রাব অত্যাধিক বন্ধ হইয়া পূণরায় কয়েক দিন পর্যন্ত অল্প অল্প দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব হইতে থাকে। কষ্টিকামের স্রাব দিনের বেলা রাত্রিতে নয়।
স্তনের বোটা ফাটিয়ে যাওয়া, শুকিয়ে যাওয়া ও বোটায় ফুস্করী জন্মে।
তথ্যসূত্র- [azadqn@gmail.com]

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন