RH

০৭ জানুয়ারী ২০১৯

কাক- কৌয়া

বাংলাদেশের সব জায়গাতেই পাতিকাক Corvus Splendens দেখা যায়। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া সহ অন্যান্য দেশেও দেখা যায়। এরা খুব চালাক ও বুদ্ধিমান দলবদ্ধভাবে ভাবে বসবাস করে এদের একটিকে আক্রমণ করলে হাজার কাক এসে মাথার উপর কা-কা-কা করতে থাকে আক্রমণ কারিকে চিনে রাখে এবং দীর্ঘ দিন পর্যন্ত মাথার উপর দিয়ে উড়ে বেড়ায়। 
আমার এ অভিজ্ঞতা হয়েছে তাও ছিল আবার আমার মাথা ন্যাড়া,ডায়না একটা আছে বাসায় খুব ডিস্টার্ব করে তাক করলে উড়ে চলে যায় তারপরও যা দুই একটা লাগে আর লাগলে খবর আছে মাথার উপর উড়বে,,,।
কাকের গলার স্বর কর্কশ কোকিলের মতো না। কোকিল কালো, কাকের চোখ-পা-ঠোট কালো, গায়ের রং কালো,ছাই ও হালকা চকচকে নীলাভ কালো। সাদা রঙের কাকও আছে সাইবেরিয়ার অঞ্চলে।
স্ত্রী ও পুরুষ কাক দেখতে একই রকম ১০ থেকে ১৪ ইঞ্চি লম্বা। তার, গাছের ডাল,ও মানুষের ব্যবহৃত জিনিসপত্র দিয়ে মানুষের কাছাকাছি এরা বাসা বাঁধে। মার্চ থেকে জুন মাস এদের প্রজননের সময়। ০৩ থেকে ০৬টি পর্যন্ত নীলচে সবুজ ও ফোঁটা ফোঁটা দাগ মিশ্রিত ডিম পাড়ে। পাতি কাকের বাচ্চাকে খাঁচায় রেখে পোষ মানানো ও কথা শেখানো যায়।
কাক উপকারী প্রাণী। মানুষের বিপদে সাহায্য কারী। কাক মানুষের উচ্ছিষ্ট খাবার খায়, মানুষের ময়লা রাখার স্থানে ঘুরাফিরা করে ঠিকই কিন্তু প্রত্যেহ এরা সবাই পড়ন্ত বিকেলে দলবেঁধে নদীতে গোসল করে নিজেদের এবং আমাদের পরিবেশ কে পরিচ্ছন্ন রাখে।
কৌয়া
কাক
তথ্যসূত্র-[azadqn@gmail.com].