পাথর উত্তোলন করা হয় অনেক আগে থেকেই। সাধারণত নদী সমূহে উত্তোলন করা হয়। বেশ কিছু নদী আছে এ জেলায় নদী সমূহ খরস্রোতা পানি স্বচ্ছ তবে গভীরতা কম বালু পরিস্কার মোটা ও চিকন। পাথর ও বালু উত্তোলন নির্ভর এ অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষের জীবন ও জীবিকা। সারাদিন শীত,রোদ ও বৃষ্টিতে ভিজে চলে আহরণ বর্ষায় তা কিছুটা স্থবির। পঞ্চগড়ে কিছু প্রাকৃতিক কুদরত রয়েছে। বিভিন্ন বই-পত্র পড়ে জানা যায় পঞ্চগড় জেলা উত্তরের পার্বত্য অঞ্চলের Extra Peninsular Region ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন জনপদ। বেঙ্গল বেসিন ও টেথিস সাগরের কথা। টপোগ্রাফিক্যাল সিট নং 78-B.
পাথর উত্তোলন এর জন্য খনন। |
পঞ্চগড়ে সমতল আবাদি জমিতে আগে কুপ/কুয়ো খুরে পরীক্ষা করা হয় মাটির কত ফুট নিচে পাথর আছে এবং কি পরিমান, পাথরের স্তর কতো ফুট। সাধারণত পনের ফুট মাটির নিচে তিন থেকে পাঁচ ফুট পাথরের স্তর ও সাইজ ভালো হলে তা মাটি খুঁড়ে উত্তোলন করলে লাভ জনক হয়। মাটি কাটতেই সাধারণত বেশী টাকা খরচ হয় মাটি কাটার জন্য কোন ড্রেজার মেশিন এখানে ব্যবহার করতে দেওয়া হয়না। এক সাইড থেকে মাটি কেটে পাথর উত্তোলন করে অন্য পার্শ্বে আবার খুঁড়ে পুরনো খাল বন্ধ করা হয় এবং আবার কৃষি ফসলের জন্য রেডি করা হয়। শ্রমিকেরা সারাদিন মাটি কাটে আর সন্ধ্যা বেলা যাবার সময় যখন পাথর বের হয় তখন ঘোলা পানি পরিষ্কার করার জন্য গোবর দিয়ে যায়। গোবর যখন দেয় তখন পানির ঘনত্ব বেড়ে অনেকটা হলুদ রঙের মাখনের মতো ফাটা ফাটা হয়ে যায় এবং পরের দিন সকালে এসে দেখা যায় পানি একদম ঝর্নার জলের মতো স্বচ্ছ। এ গোবর দেওয়ার পদ্ধতি নলকূপ বসানোর সময় দেখা যায় এতে নলকূপ স্থাপনের সময় শ্রমিকদের পানি কমলাগে জানা যায়। পাথর উত্তোলনের জন্য মানুষ নিজেদের বসত বাড়ীর নিচ পর্যন্ত খনন করতে দেখা গেছে।
To be be continuing
Link Movie Chitkini-bit.ly/2yh9BKn
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন