RH

০৩ জানুয়ারী ২০১৯

তালগাছের উপকরীতা।

Borassus Flabellifer-Plam Tree.

তাল বলতে তালগাছ। যে রোপণ করে তাল সে পায় ছাল তার ছেলে পায় ডাল তার ছেলে খায় তাল। বীজ বুনে গাছ এবং গাছ থেকে ফল হতে তাল গাছের দীর্ঘদিন সময় লাগে। প্রায় পনের-বিশ বছর।তাল গাছ দুই ধরনের হয়। স্ত্রী ও পুরুষ আর পেঁপে গাছ হয় তিন ধরনের।
"তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে,সবগাছ ছাড়িয়ে উঁকি মারে আকাশে" তাল গাছ অনেক উঁচু হয় তাই অনেক দূর থেকে দেখা যায়। "ঐ দেখা যায় তালগাছ ঐ আমাদের গাঁ। গ্রাম বাংলার ফরিদপুর, ময়মনসিংহ, নোয়াখালী, কুমিল্লা, রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় সহ অনেক জেলায় তাল গাছ দেখা যায়।
ভাদ্র মাসে তাল পাকে তবে তাল বারো মাসি ফল। সব ফলই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তালের রুটি কার না ভালো লাগে। তালের পিঠা তৈরিতে চিনি কম লাগে কেননা তাল-ই তো মিষ্টি। তালের রস থেকে তৈরি হয় গুড় ও মিছরী নাম তার তাল মিছরী। তাল মিছরী শরীর ঠান্ডা রাখে জ্বর ও সর্দি কাশি দূর করে। আবার অন্য ভাবে তালের রসের তাড়ি মাতাল করে।
তালের গাছের সব কিছুই ব্যবহার করা হয়। তাল পাখা সবাই চিনি প্রয়োজনীয় উপকরণ গরমে। আমরা আমাদের গ্রামের পূকুর পাড়ে বসে থাকি উত্তর-পশ্চীম কোনে অনেক পুরনো তিনটে তাল গাছ আছে সেখানে সুন্দর বাতাস সুবিশাল পাখা দিয়ে দেহ ও মন জুড়িয়ে দেয় তালও পড়ে সময়ে।
তালগাছ বজ্রপাত প্রতিরোধক,কেন? ঐ যে সবগাছ ছাড়িয়ে তাল গাছ লম্বা বেশী তাই গবেষণা চলছে রাস্তা ও শহরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় তালগাছ বেশি বেশি রোপনের।
তথ্যসুত্র-[azadqn@gmail.com]

1 টি মন্তব্য: