RH

১৮ জুলাই ২০১৯

হলুদ ই শ্রেষ্ঠ।

হলুদ-হোলদি,হোলদি গাছের কন্দ/মূল।
হলুদ আমরা বাংলাদেশের প্রায় সবাই প্রতিদিন রান্নার উপকরণ হিসেবে কাঁচা অথবা শুকিয়ে গুঁড়ো করে ব্যবহার করি। সেই হিসেবে হলুদ বাংলাদেশে কৃষিপণ্যের সবথেকে বেশি ব্যবহৃত পণ্য। হলুদ রান্নায় স্বাদ আনে হলুদের সাথে ব্যবহৃত অন্যান্য সবজির রং ও গন্ধ দুর করে নিজের স্বকীয়তা বজায় রাখে। হলুদ ঔষধি গুণ সম্পন্ন।
চাষাবাদ-হলুদ গাছ বর্ষজিবী উদ্ভিদ। সাধারণত জমি নির্বাচন করে বীজ বপন করার কিছু দিন পর চারা গজায় ধীরে ধীরে গাছ বড় হতে থাকে মাটির নিচের কন্দ বড় হতে থাকে সেখান থেকে আবার চারা গজায় ঝোপ আঁকারে পাঁচ-দশটা আস্ত পাতা হালকা সবুজ রঙের হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে ধীরে ধীরে বয়স বাড়ার সাথে সাথে পাতার রং হালকা হলুদ হতে থাকে এবং কিছু দিন পর পাতা মাটিতে নুয়ে পড়ে এবং কন্দ/মূল মাটির নিচে থেকে যায় তখন তা তুলে নিতে হয়। মাটির নিচে বেশী দিন থাকলে দেখা গেছে অতিবৃষ্টির কারণে তা পঁচে যায়।
জমি থেকে কাঁচা হলুদ তুলে এনে আগাছা পরিষ্কার করে কেটে রোদে শুকাতে হয় এবং শুকিয়ে গেলে হলুদ-শুট হলুদ ভাঙ্গানো মিলে নিয়ে গুঁড়া করে আবারো রোদে শুকিয়ে পাত্রে তুলে রেখে পরিমাণ মতো তা রান্নায় ব্যবহার করা হয়।
অনেকেই কাঁচা হলুদ জমি থেকে তুলে এনে পরিস্কার করে তা সিদ্ধ করে ফালি ফালি করে কেটে রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে তেজ/ঝাঁজ কমানোর জন্য।
কাঁচা হলুদের তরকারির স্বাদ অন্যরকম হয় এবং তা নির্ভর করে রাঁধুনীর উপর।
হলুদের কিছু উপকারিতা-
হলুদ ত্বক সুন্দর রাখে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তোলে। সেলুনে চুল-দাড়ি কাটতে গেলে সেলুন কর্মচারী কাজ শেষে মুখে হলুদের পেষ্ট দিয়ে মেখে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলে আপনাকে সুন্দর করে মজুরি নিয়ে ছেড়ে দেয়। হলুদের ঔষধিগুণ পরে আপনার বিবেচ্য।
হলুদ হজমের সমস্যায় ও গ্যাসের জন্য উপকারী।
হলুদ গলা, খাদ্য নালি ও মুত্র নালি ঠিক রাখে।
চুলের জন্য উপকারী।
স্মৃতি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
শরীরের ব্যথা কমায়, সর্দি কাশি,মাথা ব্যথা,এলার্জি দূর করে ঘুম আনে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে।
দাঁত রক্ষা করে, হাড়ের ক্ষয় রোধ করে।
হলুদ রক্ত কনিকা রক্ষা করে, ডায়াবেটিস স্বাভাবিক রাখে ও প্রজননে ভূমিকা রাখে।
কাঁচা হলুদ দুধের সাথে মিশিয়ে খাওয়া ভালো।
শরীরের কোথাও কেটে গেলে সরিষার তেলে হলুদ মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে তা কাঁটা স্থানে প্রলেপ দিলে তাড়াতাড়ি সেরে যায়।

এখানে দেখুন- bit.ly/2yrWqXf

পঞ্চগড়ের মাটি হলুদ,আদা, মরিচ চাষের জন্য ভালো। পঞ্চগড়ের হলুদ উৎকৃষ্ট। কাঁচামাল আড়ৎ থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন প্রকার সব্জি সরবরাহ করা হচ্ছে।
তথ্যসূত্র-[azadqn@gmail.com]

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন