নাপাকিয়তা দূরিকরনের জন্য সমস্ত শরীর ধৌত করা হয় বা গোসল করা হয়। সালাতি/নামাজিগণ দিনে পাঁচবার উযূ করে পবিত্রতা অর্জন করেন। সারাদিন জীবনের জন্য জীবিকার প্রয়োজনে বিভিন্ন স্থানে ঘুরাফিরার দরকার হয় রোদে ঘামে, বৃষ্টিতে ভিজে, শীতে ধুলাবালিতে শরীরে শীতল ও গরম পানিতে গোসলের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। সুস্থ এবং অসুস্থ সকলেই গোসলের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। গোসল দেহে সতেজতা আনে। স্বাভাবিক গোসলের আগে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম বলে উযূ করা,হাত পরিস্কার করা, কুলি করা, নাকে পানি দেওয়া, মাথায় প্রথমে ডান-বাম পাশে ও মাঝখানে পানি ঢালা এবং সর্ব শরীর ধৌত করা, শরীরের লোমকূপ ও পরিধেয় বস্ত্র সম্পূর্ণ ভেজানো আবশ্যক। পর্দা করে গোসল করা উত্তম। দিগম্বর হয়ে গোসল করা অনুচিত। সবসময় দিগম্বর হয়ে গোসল করলে মস্তিষ্কের বিকৃত অবস্থা পরিলক্ষিত হয়। বৈধ মিলনের পরবর্তী গোসলে বাম হাতে পানি নেওয়া গোপনাঙ্গ ধৌত করা ভালো করে হাত ধোয়া উযূ ও গোসল সম্পূর্ণ করা। সব শেষে গোসলের স্থান থেকে সরে এসে পদ ধুয়ে ফেলা।