RH

২৬ এপ্রিল ২০২০

লাইলাতুল কাদর

নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলা এ রাতে কুরআন নাজিল করেছেন। যা মানুষের জন্য সঠিক পথ নির্দেশিকা এবং দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য বিশেষ বরকতময়। এ রাতের গুরুত্ব ও মহত্ব অত্যাধিক যা অন্য কোন রাতের নেই। এ মহিমান্বিত রজনী হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।ফিরেশতাগণ দিনরাত আল্লাহর ইবাদতে রত থাকেন তারা লাইলাতুল কদরে বরকত ও রহমত নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন এবং মর্যাদা ও সম্মান বৃদ্ধির কারণে রূহ বুঝতে জিবরাঈল(আঃ) কেও প্রেরণ করা হয়। নিশ্চয়ই এ রাত শান্তি বর্ষনের রাত যে বান্দা এ রাত আল্লাহর ইবাদতে কাটিয়ে দেয়, আল্লাহ তায়ালা সে বান্দা কে জাহান্নামের আযাব থেকে মুক্তি দিয়ে শান্তির বাণী শুনাবেন আর ক্বদরের রাতের বরকতের সমাপ্তি ঘটে ফজরের উদয়ের মাধ্যমে। কুরআনুল হাকীম সূরা ০২-১৮৫,৪৪-০৩,৭০-০৪,৭৮-৩৮।
আমরা নামাজ পড়ি মসজিদে যাই সিয়াম ও রমযান মাসে সারা মাস দিনের শেষে ইফতার করে কিয়ামুল্লাইল আদায় করি এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য রাত জেগে নফল ইবাদতে ব্যস্ত থাকি সূরা ক্বদর পাঠ করি দীর্ঘ জীবনে কদরের রাতের অনুসন্ধান করি ই'তিকাফ নিয়ে ব্যস্ত থাকি, ফিতরা প্রদান করি।
ই'তিকাফ হলো আল্লাহর আনুগত্য করার জন্য পার্থিব কাজ থেকে অবসর হয়ে মসজিদে অবস্থান করা। ই'তিকাফ কুরআন ও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। ০২-১২৫,১৮৭।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি রমজানে দশ দিনের ই'তিকাফ করতেন। যে বছর তিনি ইন্তেকাল করেন সে বছর তিনি বিশদিনের ই'তিকাফ করেছিলেন। বুখারী হাদীস, তৃতীয় খন্ড-ইফা।
শান্তিই শান্তি লাইলাতুল কদরের রাতে স্বচ্ছ আকাশে রহমতের বর্ষন ফজরে। এই রাতের বৈশিষ্ট্য এই যে ভুলিয়ে দেওয়া তাই নিশ্চিত ভাবে কেহই জানাতে পারেননা রমজান মাসের কোন দিন। সন্ধান করতে তালাশ করতে বলা হয়েছে তাই তালাশ করি এবং সাহায্য চাই আল্লাহ তায়ালার কাছে। আল কুরআনুল হাকীম ১১০ সূরা নাসর।
সুবহানাকা আল্লাহুম্মা রাব্বানা ওয়া বিহামদিকা আলাহুম্মাগ ফিরলী।
হে আল্লাহ! আপনি মহা পবিত্র এবং আপনার জন্যই সমস্ত প্রশংসা। হে আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুন।
আল্লাহুম্মা ইন্নাকা 'আফুউ উন তুহিব্বুল' আফুওয়া ফা'ফু আন্নী।
- হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল,ক্ষমা আপনার পছন্দনীয় আমাকে ক্ষমা করুন।
আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হু আকবার, লা- ইলা- হা ইল্লাল্লাহু, আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হু আকবার ওয়া লিল্লা- হিল হামদ।
এখন ২০২০ সাল।