RH

১২ মে ২০২০

১১ রমযান

   আবদান (র)   ও বিশর ইবন্ মুহাম্মদ (র)    ইবন্ আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ দাতা। রমযানে তিনি আরও বেশি দানশীল হতেন, রমযানের প্রতি রাতেই জিবরাঈল (আ) তার সাথে সাক্ষাৎ করতেন এবং তাঁরা পরস্পর কুরআন তিলাওয়াত করে শোনাতেন। নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রহমতের বাতাস থেকেও অধিক দানশীল ছিলেন।
বুখারী হাদীস, কিতাবুল ওহী'অধ্যায়, প্রথম খণ্ড-ইফা।

মুহাম্মদ ইবন আবু বকর (র) আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, দরিদ্র লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বললেন, সম্পদশালী ও ধনী ব্যক্তিরা তাদের সম্পদের দ্বারা উচ্চমর্যাদা ও স্থায়ী আবাস লাভ করছেন, তাঁরা আমাদের মত সালাত আদায় করছেন আমাদের মত সিয়াম পালন করছেন এবং অর্থের দ্বারা হজ্জ,উমরা, ও সাদকা করার মর্যাদাও লাভ করছেন। এ শুনে তিনি বললেন, আমি কি তোমাদের এমন কিছু কাজের কথা বলবো,যা তোমরা করলে, যারা নেক কাজে তোমাদের অগ্রগামী হয়ে গিয়েছে, তাদের সমপর্যায়ে পৌঁছতে পারবে। তবে যারা পুনরায় এ ধরনের কাজ করবে তাদের কথা স্বতন্ত্র। তোমারা প্রত্যেক সালাতের পর তেত্রিশ বার করে- 
তাসবীহ "সুবহানাল্লাহ"
তাহমীদ "আলহামদুলিল্লাহ"
এবং তাকবীর "আল্লাহু আকবার" 
পাঠ করবে। এ বিষয়টি নিয়ে আমাদের মধ্যে মতানৈক্য সৃষ্টি হলো, কেউ বলল, আমরা তেত্রিশ বার তাসবীহ পড়ব, তেত্রিশ বার তাহমীদ আর চৌত্রিশ বার তাকবীর পড়ব। এরপর আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে ফিরে গেলাম। তিনি বললেন, সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহু আকবার বলবে ,যাতে সবগুলোই তেত্রিশ বার করে হয়ে যায়।
বুখারী হাদীস,আযান অধ্যায়, দ্বিতীয় খণ্ড-ইফা।


ক্বালা রাব্বি ইন্নী আ'উযুবিকা আন আছআলাকা মা লাইছা লী বিহী 'ইলম; অইল্লা তাগফির লী অতারহামনী আকুম মিনাল খাছিরীন।
নুহ বললঃ হে আমার রব! আমি আপনারই কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি এমন বিষয়ের আবেদন করা থেকে,যার সম্বন্ধে আমার জ্ঞান নেই; আপনি আমাকে ক্ষমা না করলে এবং আমার প্রতি দয়া না করলে আমি ক্ষতিগ্রস্তদের শামিল হয়ে পড়ব।
১২পারা, ১১সূরা হুদ -মক্কী, আয়াত ৪৭, কুরআনুল হাকীম। 



দরুদ পাঠ-
আরবী উচ্চারণ- আল্লহুম্মা স্বল্লি আলা মুহাম্মদ, ওয়া আলা আলি মুহাম্মদ কামা স্বল্লাইতা আলা ইব্রাহীম, ওয়া আলা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ, আল্লহুম্মা বারিক আল মুহাম্মদ, ওয়া আলা আলি মুহাম্মদ কামা বারকতা আলা ইব্রাহীম, ওয়া আলা আলি ইব্রাহীম ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।
বাংলা উচ্চারণ- হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার পরিবারবর্গের উপর রহমত বর্ষণ কর, যেভাবে রহমত বর্ষণ করেছ ইব্রাহীম (আ) ও তার পরিবারবর্গের প্রতি। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসিত ও সম্মানিত। হে আল্লাহ! বরকত অবতীর্ণ কর মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার পরিবারবর্গের উপর, যেভাবে তুমি বরকত নাযিল করেছ ইব্রাহীম (আ:) ও তার পরিবার- পরিজনের প্রতি। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসিত ও সম্মানিত।

সিয়াম পালন ও দিন- রাত্রির পর্যালোচনা-

১৪৪৪