শাল গাছ Shal Tree [Tropical Moist Deciduous Forest ]বাংলাদেশের মধুপুর ও ভাওয়াল গড়ে, সাভার, জয়দেবপুর,দিনাজপুর,ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়ের বোদা,
আটোয়ারী,দেবীগন্জ এবং তেঁতুলিয়া দেখা যায়। শাল হিমালয় অঞ্চলের গাছ এ গাছ হিমালয়ের অনেক উঁচুতেও দেখা যায়।
শাল গাছ অনেক লম্বা হয়। শাল গাছে এক ধরনের আঠা বের হয় যা থেকে ধুপ বা ধুনো তৈরি করা হয়। ধুনো জীবাণু নাশক ও ধুপ থেকে একধরনের সুগন্ধি বের হয়। স্বাস্থ্যকর।
পানি শাল* আমার নদীর পাড়ের দুই একর জায়গা নষ্ট হয়েছে পাথর কোয়ারী ও পানি শাল উত্তোলনকারদের হাতে। উপায় নেই বাঁধা দিয়ে চলে আসি পরে আবার আসে। পঞ্চগড় অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক ব্যবসা হচ্ছে মাটি ও পানির নীচ থেকে নুড়ি পাথর ও বিশাল আকৃতির পানি শাল গাছ উত্তোলন ও বিক্রয়। প্রশ্ন জাগে এতো গাছ আসলো কোত্থেকে।
স্থানীয় জনগণের ধারণা হযরত নুহ নবীর সময়ে সমস্ত পৃথিবী পানির নীচে তলিয়ে যায় এবং এই পানি শাল গাছ গুলো তখন কার,হতেও পারে শুধু নদীতে নয় এখানকার সমতল ভূমিতে পাথর উত্তোলন করতে গিয়েও বড় বড় গাছ মাটির নীচে পাওয়া গেছে। পঞ্চগড় "রকস মিউজিয়ামে" তেত্রিশ ফুট লম্বা একটি কাঠের নৌকো রক্ষিত আছে নিদর্শন স্বরূপ।
বন্যা হলে আমরা দেখি হাঁস-মুরগি,গরু-ছাগল, গাছপালা সব ভেসে যায় ভাসতে ভাসতে একসময় পানিতে ভিজে পানির তলে তলিয়ে যায় এবং পলি পড়ে চাপা পড়ে থাকে সেভাবেই। দিন-সপ্তাহ-মাস-বছর কয়েক শত বছর। এখানে সমতল ভূমিতে খনন করে নুরি পাথরের জন্য পাওয়া যায় পাথরের সাথে বিশাল আকৃতির গাছ নাম তাই এর পানি শাল,আসল শাল না।
ভেসে আসা যে কোন গাছ শত শত বছর মাটি-পানিতে ভিজে থাকার কারণে শক্ত, কঠিন ও ওজনের হয়। ঠিক যেন শালকাঠ।
অন্যান্য গাছের কাঠ যেসব কাজে ব্যবহার করা হয় পানি শালও
সেভাবেই ব্যবহৃত হয়। রান্নার জন্যও ভালো এবং উপকারী।
তথ্যসূত্র-[azadqn@gmail.com]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন