মেহদি সবার পরিচিত উপকারী গাছ। চুল-দাড়ি,হাতে-নখে এবং ঔষধি হিসেবে আমরা মেহেদী গাছের পাতা-ফুল ও ছাল ব্যবহার করি। সকলেই এই গাছটির যত্ন ও পরিচর্যা করেন। মেহেদীর ব্যবহার অনেক দিন থেকেই আমরা করে আসছি। ইতিহাস অনেক পুরনো।বিয়ের সময় কনে/নব বধু কে সাজাতে মেহেদী ব্যবহার করা হয়। নববধূ সহ বিয়ে বাড়ির অনেকেই তখন মেহেদী সাজে সাজেন। হাতের দু-পার্শ্বে মেহেদীর ডিজাইন অংকন করা হয় আর এজন্য মেহেদী ডিজাইনার খোঁজা হয় অনেকেই আবার ডিজাইন করা বই ও কাগজ সংগ্রহ করে রাখেন এবং কিছু পয়সা দিয়ে বিউটি পার্লারের বিউটি শিয়ানদের কাছেও যান শুধু মেহেদী রঙে নিজেকে রাঙিয়ে তুলতে। ওয়েব সার্চ ও করা হয় মেহেদীর সুন্দর সুন্দর ডিজাইন এর জন্য। Mehdi/Henna Tattoo Lowsonia Inermis.
মুরুব্বিগণ গোছলের আগে মেহেদী চুল ও দাড়িতে মেহেদী পাতা পিষে পেষ্ট বানিয়ে চুল-দাড়িতে প্রলেপ দিয়ে কখনো তা গামছা/কাপড় দিয়ে বেঁধে কিছুক্ষণ রোদে বসে থাকেন এবং গোছলের পর রঙিন হয়ে নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
মেহেদী বাটা বা পিষা বিয়ে বাড়ির একটি উৎসব একজন বাটেন অনেকেই তাকে ঘিরে পাশে বসে থাকেন এবং গীতও গান এ গীত মানে গান বিয়ের গান অঞ্চল ভেদে বরং ও কনেকে উৎস করে।
মেহেদী পাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে পরে পানিতে মিশিয়েও পরা যায় অনেকে আবার ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নেন।
মেহেদী পাতা ত্বক, চুল,নখ ও পশম যেমন রঙিন করে তেমনি
ঔষধি হিসেবে এর ব্যবহার হয়।
মেহদি পাতা বা গাছকে সম্মান করা হয় মুরুব্বিগন চুল ও দাড়িতে ব্যবহার করেন তাই মেহেদির রং-এ পা রাঙ্গানো হয় না পায়ের জন্য রয়েছে টকটকে লাল রঙের আলতা। আলতা বাজারে সাজসজ্জার দোকানে, চুরি ফিতার দোকানে পাওয়া যায়। ছোট-বড় সাইজের বোতলে ৩০-৪০টাকা মূল্যে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন