RH

০৩ জুলাই ২০১৯

আম ফল।

Mango.
আম-ফল বিশেষ,আম্রফল।
বাংলাদেশের জাতীয় বৃক্ষ আম।
আমকে বলা হয় ফলের রাজা।
আম বাংলাদেশ অঞ্চলের ছোট-বড়,গরীব-ধনী, সকলেরই প্রিয় ফল/খাবার। জৈষ্ঠ্য মাস ফলের মাস। নানান রকমের ফল আম,জাম,লিচু,কলা,পিয়ারা। বারো মাসের ষড়ঋতুর দেশে বৈশাখের শুরুতে আম গাছে মুকুল আসে তারপর আস্তে আস্তে ফল বড় হতে থাকে কাঁচাতে ফলের রং গাঢ় সবুজ রঙের হয়ে পাকার সময় বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে কোনটা টকটকে লাল কোনটা হলুদ আবার কোনটা সাতরঙা রঙধনুর মতো রঙিন লোভনীয় বলেই বাচ্চারা পাকা আম বোটার দিকে না নীচের দিকে ফুটো করে টিপতে টিপতে ফিডারের মতো করে চুষে চুষে আমের রস খায় এচিত্র গ্রাম বাংলার।
বাজার থেকে আপনি আম কিনে নিয়ে আসলেন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খেলেন আর আমের চচা ও আটি ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে আসলেন। ভালো ভালো খুব ভালো। যদিও অনেকেই এখন আমের চছা সহ খেতে বলেন এতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ আছে। চছা ছাগল-গরু খেল আর আঁটি থেকে ভাগ্যক্রমে সুন্দর একটা চারা বেরুলো খোলস ফাটিয়ে মাটিতে শিকর ছড়িয়ে চকলেট রঙের রঙিন পাতলা লম্বা লম্বা পাতা নিয়ে।

আম গাছ, ভালো জাতের আমের আঁটি সংগ্রহ করে তা জমিতে রোপণ করা যায় আবার গ্রাফটিং/জোরকলম করেও আমগাছ রোপণ করা যায়।

আমতো আম-ই,তবে অঞ্চল অনুযায়ী স্বাদ(টক-মিষ্টি),গন্ধ,রং, ও আকারে আমের বিভিন্ন নামও আছে। যে যেভাবে পেরেছে সে সেই ভাবে নামও রেখেছে। যেমন-
ডারা গাছি- কুয়ার পাড়ের বাংলার(ঢালে) ডারা গাছি আম।
চিনিয়া গাছি-চিনির মতো মিষ্টি তাই চিনিয়া আম।
কেলা গাছি-কলার মতো স্বাদ ও আকার তাই কলা গাছি।
কদুয়া-কদুর মতো সাইজ তাই কদুয়া আম এই আম অনেক বড় হতো কদুর মতো কাঁচাতেই খাওয়া যেত পাকলে মিষ্টি কম তবে ভালো।
পখি খুই- সুন্দর আম আঁশযুক্ত পাকলে একটা আমও ভালো ভাবে পাওয়া যেতো না সব আমের মধ্যেই পাখির ঠোঁটের দাগ থাকতো তাই পাখি খুই।

Mango/Mangifera,a fleshly yellow-red tropical fruit that is eaten ripe or used green for pickles and chutneys.
Photo
আমের কিছু নাম-ফজলি,খিরসা,আম্রপালি,সূর্যাপুরী, হিমসাগর, হাঁড়িভাঙ্গা,ল্যাংড়া,সুন্দরী, কাঁচা মিঠা।
আমে আছে-শক্তি,চিনি/শর্করা, ফাইবার, স্নেহ পদার্থ, প্রোটিন, বিভিন্ন ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, লোহা, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ,দস্তা, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ফসফরাস।
আম গাছ বহু বর্ষজিবী গাছ তাই অনেক মোটা ও লম্বা হয়।আমের ছাল, আঠা,পাতা, কচি পাতা,আঁটি,শিকর,
আঁটি সহ শিকর ঔষধি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

আমের আঁটির বাচ্চাদের তৈরীকৃত বাঁশী। খুব সুন্দর বাজে অনেকেই খুব সুন্দর শুরু তোলে।


পঞ্চগড়ে বেশ কিছু আমের আড়ৎ আছে স্থানীয় ভাবে আম সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে কুরিয়ার সার্ভিস/অনান্য মাধ্যমে তা সরবরাহ করা হচ্ছে।
তথ্যসূত্র-[azadqn@gmail.com]

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন