RH

০২ জুলাই ২০১৯

কাঁঠাল কেন খাব

সর্বাঙ্গে কাঁটাযুক্ত ফল। পনস/পনোশ গাছ। রসালো ফল বিশেষ।বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল। দেশের প্রায় সকল অঞ্চলে কাঁঠালের গাছ জন্মে। কাঁঠালের বিচি থেকেই সাধারণত কাঁঠাল গাছ জন্মে। ভালো জাতের কাঁঠাল থেকে বিচি সংগ্রহ করে তা জমিতে রোপণ করতে হয়। বানিজ্যিক ভাবে চারা বিক্রির জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরনের প্যাকেট পাওয়া যায় তাতে বীজ রোপণ করলে স্থানান্তর করার সুবিধা হয়।
কাঁঠালের বীচি জমিতে রোপণ করে ফল পেতে বেশ কয়েক বছর সময় লাগে তা হিসাবে আট থেকে বারো বছর। কাঁঠালের বিভিন্ন গাছে বিভিন্ন সাইজের ফল হয় কিছু গাছে ফলন কম কিন্তু সাইজ বড় ওজনে চল্লিশ কেজীর বেশীও হয়। আবার কিছু গাছের ফল বেশি কিন্তু সাইজে ছোট আবার কিছু গাছ আছে যাদের হাজারি কাঁঠাল বলে মানে হলো হাজারেরও বেশী একটা গাছে কাঁঠাল ধরে।
কাঁঠাল গাছের কাঠ খুব ভালো আসবাবপত্র ও দরজা-জানালায় ব্যবহারের জন্য। কাঁঠালের গাছ কাঠ হিসেবে ব্যবহার করতে তিরিশ বছর অপেক্ষা করতে হয় গাছ পুরু(পুরাট) হওয়ার জন্য। স্থানীয় কাঠুরেদের এই মতামত।
কাঁঠাল গাছের ডাল খড়ি হিসেবেও খুব ভালো রান্নায় স্বাদ আনে শুকনো ডাল উনুনে জ্বলে শব্দ করে নিজের স্বকীয়তা জানিয়ে দেয়।
কাঁঠাল গাছের পাতা পশুর/প্রাণীর খাদ্য যেমন ছাগল। কাঁঠাল গাছের পাতা আঁটি বেঁধে বাজারে বিক্রি হয় খামারীরা তা কিনে নেয় বর্ষা মৌসুমে কাঁঠাল গাছের পাতার কদর বাড়ে।

Jackfruit
কাঁঠাল

কাঁঠাল ফলনের প্রথম অবস্থাকে আমরা স্থানীয় ভাবে বলি মুচী। সব মুতী আবার এচোর হয় না কিছু পচে কালো হয়ে যায়। সে সব পচে যাওয়ার আগে হালকা হলদে কদম ফুলের মত যখন হয় তখন কাঁচা বড়ই এর সাথে বেটে তেল,লবণ,ঝাল দিয়ে খেতে খুবই ভালো লাগে গ্রামের মেয়েদের।
এচোর কাঁচা কাঁঠাল রান্না করে খাওয়ার জন্য খুবই ভালো।
গাছে পাকা কাঁঠাল থাকলে আপনার কষ্ট করতে হবে না কাঁঠাল পাকার মিষ্টি গন্ধে নিজেই বুঝতে পারবেন কোনটা কাঁঠাল পেকেছে আর বুঝতে যদি দেরি করেন তবে কাক সেটা খেয়ে জানিয়ে দিবে তার পেট ভরেছে। উপরে হাঁ করে তাকিয়ে দেখবেন পাকা কাঁঠালের মিষ্টি রসে মুখ ভরে যাবে তখন।
গ্রীষ্মের ফল কাঁঠাল। বর্ষায় কাঁঠাল পাকে না অধিক বৃষ্টির জন্য কাঁচা কাঁঠালের ভিতরে গাছে থাকা অবস্থায় বিচিতে শেকর জন্মে তখন সে কাঁঠাল পেড়ে রেখে পাকালে স্বাদ পাওয়া যায় না শেখর জন্মানো বিচির গন্ধ থেকে যায়।
কাঁঠালের বিচি সুস্বাদু। রান্না করে খাওয়া যায় ভেজেও খাওয়া যায়। কাঁঠালের বিচি সিদ্ধ করে পিষে ডাল বানালে রাঁধুনীর গুনে অমৃত। যে যার মত রান্না করে তা রেঁধে খায়।
কাঁঠালের কোষের সাথে যে অংশ টুকু থাকে তা চাপি বলে স্থানীয় ভাবে তা ও মধ্যে যা থাকে মধণী গরু ও ছাগলের খাদ্য।
কাঁঠালের আঠা শুধু আপনি না কষ্ট করে গাছ রোপণ করলেন ফল খাওয়ার জন্য অপেক্ষা করলেন গাছ থেকে পারলেন খাওয়ার সময় তাই আঠা ধরে থেকে বলে খাচ্ছ খাও গাছ কেটোনা সকল কে। কাঁঠালের আঠা ঔষধি অনেক উপকারে লাগে।
কাঁঠাল গাছের শেকড় কারিগরের উপর বৃদ্ধের ভর করে দাঁড়িয়ে থাকা।
কাঁঠাল জাতীয় ফল তাই খাব। কাঁঠালে আছে শক্তি, শর্করা, খাদ্য ফাইবার, স্নেহ পদার্থ, প্রোটিন, বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, লোহা, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, প্রচুর পটাশিয়াম,দস্তা, সোডিয়াম।
পঞ্চগড়ের কাঁঠাল খুব ভালো দামে কম স্থানীয় ভাবে কাঁঠাল সংগ্রহ করে আড়ৎদারগন দেশের বিভিন্ন স্থানে কাঁঠাল সরবরাহ করছেন।
তথ্যসূত্র-[azadqn@gmail.com]

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন