RH

০৯ আগস্ট ২০১৯

ধান - ধানে আসমানী পানি।

অসুস্থ হলে ডাক্তার খেতে বলে নরম ভাত আর বাচ্চা মুরগির ঝোল-পথ্য।
শরীর ঠিক রাখার জন্য প্রয়োজন খাদ্যের। নিয়মিত প্রত্যহ ভাত আমাদের প্রাধান খাদ্য। ভাত খেতে বসে তরকারী না থাকলে লবণ-তেল দিয়ে খাই খাওয়ার পরে যে টুকু থাকে সেটুকুতে পানি ঢেলে দিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকাল বেলা খাই সকালে খেয়েও যদি আরও কিছু বাঁচে সেটা হয় ঔষধি অনেকে বলে পচানি সেটা সবাই খেতে পারে না মাথা ঠিক থাকেনা,,,।
ভাত হয় চাল সেদ্ধ করে চাল হয় ধান থেকে ধান হয় বীজতলায় জমিতে  ধান ছিটিয়ে কিছুদিন পরে সেই বীজতলা থেকে বীজ তুলে খোলা আকাশের নীচে বৃষ্টির পানিতে ভেজানো জমি চাষ দিয়ে মাটি নরম করে কাঁদা করে একটা একটা করে বীজ রোপণ করে যত্ন নিয়ে একটি থেকে একটি থোপ হয়ে এক শীষে অসংখ্য।

ছবি দিনাজপুর মল্ল্যাহ পাড়া।



যিনি আমাদের সৃষ্টি করিয়াছেন তিনিই আমাদের জীবিকার ব্যবস্থাও করিয়াছেন।


পানি পানি পানি পানি ছাড়া ফসল উৎপন্ন হয় না। ধান চাষে পানির প্রয়োজন হয় একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত এর কিছুদিন পর ধান গাছ খরকুটায় পরিনত হয়।

একটি শস্য বীজ যাহা সাতটি শীষ উৎপাদন করে প্রত্যেক শীষে একশত শস্য দানা আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বহুগুণে বৃদ্ধি করিয়া দেন।

চারাগাছ যাহাতে নির্গত হয় কিশলয় অতঃপর ইহা শক্ত ও পুষ্ট হয় এবং পরে কান্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ় ভাবে যাহা চাষীর জন্য আনন্দদায়ক।

উৎকৃষ্ট ভুমি ইহার ফসল ইহার প্রতিপালকের আদেশে উৎপন্ন হয় যাহা নিকৃষ্ট তাহাতে পরিশ্রম না করিলে কিছুই জন্মায় না।

বীজ এরজন্য শস্যের শীষ সমেত রাখিয়া দেওয়াই উত্তম, ইহা আসমানী কিতাবের কথা।

আউশ,আমন,বোরো পর্যায় ক্রমে সারা বৎসরই ধানের চাষ হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়।

কিছু ধান-চালের সুগন্ধ আছে কিছুর নেই আবার কিছু ধান-চাল রঙিন।

দিনাজপুরের কাঠারী চাল সুগন্ধি খেতেও সুন্দর সুস্বাস্থ্যের জন্য।

ছবি- রানী দীঘি বিরল, দিনাজপুর।


ধান থেকে খৈ,চাল ভেজে মুড়ি ও ধানের তুষ থেকে তেল এবং খড় বাড়িঘর তৈরিতে ও বিবিধ কাজে ব্যবহৃত হয়।
বয়স আমার ১৯৭২ আজকে রৌদ্রোজ্জ্বল সুন্দর আকাশ থেকে থেকে হালকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে বেশ ভালো লাগছে 

তথ্যসূত্র- [azadqn@gmail.com]