যুদ্ধ তো দেখিনি আর দেখবো কি করে তখন তো আমার জন্মই হয়নি তবে ছিলাম মুক্ত অঞ্চলে মায়ের পেটের ভিতরে। নানীর বাড়ি তেঁতুলিয়া মহানন্দা নদীর পাড়ে পুরাতন হাটের তহশীল অফিস সংলগ্ন।
(*সেই তেঁতুলিয়া বাংলাদেশের মানচিত্রের মাথায় পাখির ঠোঁটের মতো জায়গাটির নাম তেঁতুলিয়া। মিছিলের জঙ্গি শ্লোগানে, তেজস্বী বক্তার বক্তৃতায়'তেতুলিয়া থেকে টেকনাফ' কথাটি কতোবার কতোভাবে যে শুনেছি, তার ইয়ত্তা নেই। বাংলাদেশের সর্বউত্তরে তেঁতুলিয়া আর সর্ব দক্ষিণে টেকনাফ। আমাদের বর্তমান অবস্থান সেই ঐতিহাসিক তেঁতুলিয়াতেই।
তেঁতুলিয়া থানা বর্তমানে নানা কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পরিণত হয়েছে। এটি বর্তমানে মুক্তাঞ্চল। বাংলাদেশের মোট ৪টি মুক্তাঞ্চল থানার মধ্যে এটি অন্যতম। এর রয়েছে নুড়ি বিছানো প্রশস্ত সড়কময় চমৎকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। বাংলাবান্ধা সীমান্ত পার হলেই আসাম বেঙ্গল হাইওয়ে। সেখান থেকে শিলিগুড়ি শহরের দুরত্ব মাত্র ৫/৭ মাইলের মধ্যে।
মুক্তাঞ্চল তেঁতুলিয়া যুদ্ধের প্রথম থেকেই স্বাধীন রয়ে গেছে। ঘরে ঘরে স্বাধীন বাংলার যে পতাকা তোলা হয়েছিল ২৫ মার্চের পর তা আর নামাতে হয়নি।
স্বাধীন বাংলাদেশের মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমান তেঁতুলিয়া থানা। বিদেশীরা এখানে পা রাখছেন অহরহ, স্বাধীন বাংলাদেশের অবস্থা সরেজমিনে দেখতে। দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের ভিড় লেগে রয়েছে দিন-রাত। আসছেন বিবিসি, ভয়েস অব আমেরিকা আর আকাশবাণী সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রচার মাধ্যমের লোকজন। তারা ইন্টারভিউ নিচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধাদের, উদ্বাস্তূ শরনার্থীদের, মুক্তাঞ্চলের মানুষজনের। স্বাধীন বাংলা সরকারের প্রতিনিধিরা তাদের সঙ্গে নিয়ে আসছেন বিদেশি ডেলিগেটদের, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের। আসছেন পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক লোকজন। অবহেলিত এই জনপদ তেঁতুলিয়া তাই হঠাৎ করে স্বাধীন বাংলার প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়ে যেন কুলীন হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে এর ভুমিকা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি গৌরবোজ্জ্বল আর ঐতিহাসিক। উদ্ধৃতি-গেরিলা থেকে সম্মুখ যুদ্ধে, দ্বিতীয় খণ্ড- মাহবুব আলম*)
(*সেই তেঁতুলিয়া বাংলাদেশের মানচিত্রের মাথায় পাখির ঠোঁটের মতো জায়গাটির নাম তেঁতুলিয়া। মিছিলের জঙ্গি শ্লোগানে, তেজস্বী বক্তার বক্তৃতায়'তেতুলিয়া থেকে টেকনাফ' কথাটি কতোবার কতোভাবে যে শুনেছি, তার ইয়ত্তা নেই। বাংলাদেশের সর্বউত্তরে তেঁতুলিয়া আর সর্ব দক্ষিণে টেকনাফ। আমাদের বর্তমান অবস্থান সেই ঐতিহাসিক তেঁতুলিয়াতেই।
তেঁতুলিয়া থানা বর্তমানে নানা কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পরিণত হয়েছে। এটি বর্তমানে মুক্তাঞ্চল। বাংলাদেশের মোট ৪টি মুক্তাঞ্চল থানার মধ্যে এটি অন্যতম। এর রয়েছে নুড়ি বিছানো প্রশস্ত সড়কময় চমৎকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। বাংলাবান্ধা সীমান্ত পার হলেই আসাম বেঙ্গল হাইওয়ে। সেখান থেকে শিলিগুড়ি শহরের দুরত্ব মাত্র ৫/৭ মাইলের মধ্যে।
মুক্তাঞ্চল তেঁতুলিয়া যুদ্ধের প্রথম থেকেই স্বাধীন রয়ে গেছে। ঘরে ঘরে স্বাধীন বাংলার যে পতাকা তোলা হয়েছিল ২৫ মার্চের পর তা আর নামাতে হয়নি।
স্বাধীন বাংলাদেশের মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমান তেঁতুলিয়া থানা। বিদেশীরা এখানে পা রাখছেন অহরহ, স্বাধীন বাংলাদেশের অবস্থা সরেজমিনে দেখতে। দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের ভিড় লেগে রয়েছে দিন-রাত। আসছেন বিবিসি, ভয়েস অব আমেরিকা আর আকাশবাণী সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রচার মাধ্যমের লোকজন। তারা ইন্টারভিউ নিচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধাদের, উদ্বাস্তূ শরনার্থীদের, মুক্তাঞ্চলের মানুষজনের। স্বাধীন বাংলা সরকারের প্রতিনিধিরা তাদের সঙ্গে নিয়ে আসছেন বিদেশি ডেলিগেটদের, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের। আসছেন পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক লোকজন। অবহেলিত এই জনপদ তেঁতুলিয়া তাই হঠাৎ করে স্বাধীন বাংলার প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়ে যেন কুলীন হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে এর ভুমিকা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি গৌরবোজ্জ্বল আর ঐতিহাসিক। উদ্ধৃতি-গেরিলা থেকে সম্মুখ যুদ্ধে, দ্বিতীয় খণ্ড- মাহবুব আলম*)