RH

১৮ জানুয়ারী ২০২০

আদার গুনাগুণ

আমাদের অনেক কিছুতেই মানা। বলতে মানা, আবিষ্কারে মানা, খাইতে মানা এতো মানার মাঝে পৃথিবীতে বিচরণে অজানা অনেক কিছুই জানা হয়না। নিদৃত অবস্থায় স্বপ্ন দেখি আর জেগে থেকে কল্পনা করি। ক্ষুধা লাগলে খাই তৃষ্ণা মেটাতে পানি চাই।
আদা-আদ্রক,ঝাঁজবিশিষ্ট উদ্ভিদ মূল, রান্নার উপকরণ। মসলা জাতীয় খাদ্য। আদা চাষ খুব সহজ। নিজেদের খাওয়ার জন্যে আদা নিয়ে এসেছেন এক টুকরো আদা ফুলের টবে রেখে দিন দেখবেন চারা গজাচ্ছে টবে আদা রোপণ করলে যত্ন নিতে হয় মাঝেমাঝে পানি দিতে  হয়।  বানিজ্যিক ভাবে রোপণ করলে জমি বাছাই করে চাষ দিয়ে সারিবদ্ধভাবে এপ্রিল-মে মাসের শুরুতে বীজ রোপণ করে বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হয় ফসল ঘরে তোলার জন্য।
আদার গুনাগুণ
আদা


আদা/আদ্রক ঔষধি গুণ সম্পন্ন।
যানজাবীল আদা চারটি নহরের একটি। আদাতে আছে প্রচুর পরিমাণে পানি। আদা চিরতরুণের পানীয়।
সকালে এককাপ আদা চা দৈনিক কর্মকান্ডে শরীরের প্রাণ চাঞ্চল্য বাড়িয়ে তোলে।
আদা শরীর শীতল করে জ্বর দূর করে।
রুচি বাড়ায় হজমের সমস্যা দূর করে। ‌
ওজন কমাতে সাহায্য করে।
শরীরের প্রতিটি জয়েন্টের ব্যথা দূর করে শরীরকে সতেজ রাখে।
আদা উত্তেজক, পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা বাড়ায় স্পার্ম কাউন্ট বৃষ্টি করে, দাঁতের মাড়ি শক্ত করে, শরীরের জীবাণু ধ্বংস করে ক্ষত শুকাতে সাহায্য করে।
কিডনি ও ডায়াবেটিসের সমস্যা দূর করে।
গর্ভাবস্থার প্রাথমিক পর্যায়ে নারীর শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা বিতারিত করে।
গলা পরিষ্কার করে। কাশিতে আদার রস ও মধু আরোগ্য কর।
রক্ত চলাচলে সহযোগিতা করে হৃৎপিণ্ড স্বাভাবিক রাখে।
পেটফাপায় আদা-লবণ খাওয়া উপকারি।
আদাতে আছে ভিটামিন এবং প্রচুর পটাশিয়াম।
অন্তঃসত্ত্বার শেষ পর্যায়ে, ওজন বাড়ানোর আকাঙ্ক্ষায়, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ সেবন অবস্থায় আদা খাওয়া উচিৎ নয়। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন