RH

০২ জানুয়ারী ২০২০

কাঁচা সুপারি

মানুষই খায়, খাইতে হয় না খেলে কেমন যেন লাগে, দাঁতের ফাঁকে লেগে থাকা খাবার দীর্ঘ সময় মুখে থাকার কারণে গন্ধও ছড়ায়।
সুপারি-আমাদের পঞ্চগড় জেলায় সুপারি গাছ নাই এমন বাড়ি খুব কমই আছে শহরে বা গ্রামে। সুপারি গাছ বৈদ্যুতিক খাম্বার মত লম্বা ৩০ থেকে ৫০ ফুট পর্যন্ত উঁচু গোলাকার কান্ডের ব্যাস ৪-৮ ইঞ্চি। ডাল নেই তবে পাতা আছে সেই পাতার মাঝখানে একটি আবার ডান্টি আছে দেখতে অনেকটা ডাব গাছের মতো তবে নরম শুকিয়ে ঝরে পড়ে যায় আর সুপারি গাছের গায়ে একটা গোলাকার দাগ রেখে আরো একটু বৃদ্ধি হয় এভাবে ৫-৮ ইঞ্চি মাপের গোলাকার দাগ প্রত্যেক সুপারি গাছে থাকে। পাঁচ থেকে সাত বছরে ফল ধরে বেঁচে থাকে অনেক দিন লম্বা হয় তাই হাওয়ায় বা বাতাসে ভেঙ্গেও পড়ে মাথা ছাড়া দাঁড়িয়ে থাকে তারপর ভিতর টা পানি জমে পচে তবে বাইরের টা ঠিক থাকে। ফুল থেকে ফল হতে বেশ সময় নেয় বর্ষার প্রথম বৃষ্টির পর সাধারণত এ এলাকায় সুপারি পারে যখন সবুজ থেকে হলুদ রঙের হয় তখন।
Betel,Areca Nuts.
কাঁচা সুপারি
সুপারি

গুবাক বৃক্ষ।
সুপারির ধরন-০১. কাঁচা। 
                     ০২.পাকা। 
                     ০৩.মজা। 
                     ০৪. শুকনা সুপারি। 
                     ০৫.কেটে ফেলা গাছ। 
                     ০৬. সুপারির খোল।
বিক্রয় পদ্ধতি- কাঁচা ও মজা ০৪টি এক হালি,২০হালি এক পন,১৬পন এক কাহন। সুকনা সুপারি কিলোগ্রাম হিসেবে বিক্রয় হয়।
সুপারি খাওয়ার কিছু নিয়ম আছে কম করে খেতে হয় এতে মাদকতা আছে কাঁচা সুপারি চার্জিং শরীর ঘামিয়ে দেয় দেহ ভিজে যায় তার পরও অনেক পান-সুপারি খাওয়া ছাড়ে না। পান, সুপারি,চুন,জর্দা খেয়ে মুখ লাল করে দেখতে অবশ্য ভালোই লাগে। গান, সিনেমা,গদ্য-পদ্য সবিই আছে পান আর সুপারি নিয়ে। আছে চিকিৎসক গনের মতামতও। কাঁচা সুপারির খুব ধার প্রথম প্রথম মুখের ভিতরের গাল-জিহবা কাটে আর এইজন্যই তো মজা এ আবার অন্য রকম অদ্ভুত পদ্ধতি,আগে মাটিতে কুয়া/কুয়ো খুড়ে বিভিন্ন রকমের গাছ-গাছরা কাঁচা-পাকা সুপারির সঙ্গে দিয়ে কিছু দিন ঢাকা দিয়ে রাখতো যাকে বলে পুঁতে রাখা। কেহ আবার মাটির হাড়িতে রাখে। এখন অবশ্য পুতে রাখা পদ্ধতি বদলেছে এখন খালে রাখে খোলা আকাশের নীচে পাট যেভাবে রাখে একটু গন্ধ বের হয় মজা খাওয়ার জন্য সুপারির পুকুরের। 
তথ্যসূত্র- [azadqn@gmail.com]

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন