এক গ্রামে ছিল এক অলস। যাকে আঞ্চলিক ভাষায় বলা হয় আলসিয়া এরা কাজ করে তবে ধীর গতিতে তাই এদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা হয় খাবার দিলে খায় না দিলে অলসতায় বসে গল্প করে সময় পার করে থাকে। এই অলসের কাজ হলো খবর রাখা অঞ্চলের কোথায় কোন অনুষ্ঠান হচ্ছে তার খবর রাখা এবং ফ্রীতে খেয়ে আসা। সে এক অনুষ্ঠানের খবর পেলো এবং গিয়ে পেটপুরে একদম গলা পর্যন্ত খেল। দাওয়াত অনুষ্ঠানের খাওয়া দাওয়া ভালো হয় মিষ্টি ও পায়েস, রঙিন ভাতও খাওয়ানো হয় খাওয়ার শেষের দিকে। সব খেয়ে আলসিয়া হেলেদুলে রাস্তা দিয়ে হেঁটে রাস্তার পাশে বাগানের এক গাছে হেলান দিয়ে বসে ভাত খাবার কিছুক্ষণ পর সাধারণত এলকোহলিক ও মরিচের গুণে অলসের গভীর ঘুম আসে এবং সে মুখ হা করে ঘুমিয়ে পড়ে এবং ঘুমে ঢেকুরে তার হা করা মুখে পেটের ভিতরের মিষ্টি ভাত বের হয়ে আসে, গাছের গোড়ায় গভীরে ছিল পিঁপড়ের বাস খাবারের খোঁজে তারা বের হয়ে আসে অলসের মুখে খাবার পেয়ে অগুনিত পিঁপড়া তা নিজেদের জন্য সংগ্রহ করে নিয়ে আসে পিঁপড়া সারিবদ্ধভাবে চলে এবং তারা গোত্র প্রধান এর নির্দেশে চলে সতর্ক থাকে যাতে অন্যের অসতর্কতায় নিজেদের ক্ষুদ্র প্রাণ দলিত না হয়। পিঁপড়ের দলবদ্ধ চলন নজর কাড়ে। পাথচারী তাকিয়ে থাকে,বিদ্বান আসেন, নাড়িয়ে বলেন কি হয়েছে, অলস ঘুম ছাড়িয়ে ঝাড়িয়ে বলে কি স্যার দাওয়াত দাওয়াত!