মধু-ফুল থেকে যে মিষ্টিরস মৌচাকে সঞ্চিত হয়।মৌমাছি-মধু সংগ্রহকারী পতঙ্গ বিশেষ। মৌমাছি পাহাড়ে, বৃক্ষে ও মানুষ যেখানে গৃহ নির্মাণ করে তাতে নিজে বল্লার মতো ছোট ছোট খোপ বিশিষ্ট বাসা/চাক তৈরি করে।মৌমাছি বিভিন্ন প্রকার ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে প্রথমে নিজের শরীরে সংগ্রহ করে ফুলের বাগান থেকে সোজা/সরাসরি চাকে ফিরে এসে পরে তা বিভিন্ন বর্ণের পানীয় স্বরুপ বের করে মৌচাকের ছোট ছোট্ট খোপ/কুঠরী/নহরে সংরক্ষণ করে রাখে নিজের ও সকলের জন্য।
মৌচাকে মোমের কুঠুরিতে মধু থাকে,মধু আরোগ্য কারী তরল পানীয়। মধু লতানো গাছের/ছোট-বড় বিভিন্ন ফুল হতে একটু-একটু/বিন্দু-বিন্দু করে মৌমাছি সংগ্রহ করে মৌচাকে সঞ্চিত করে।
মধু পানীয় কিন্তু অন্যান্য পানি বা অন্য কোন তরল পদার্থের মতো পান করা যায় না, গলায় আটকে যায় এর স্বভাবজাত আরোগ্যকারি/শেফাদানকারী গুনের কারণে।
মধু শরীর সুস্থ ও সবল রাখে। খালি পেটে মধু খাওয়া যায় তবে তা অল্প পরিমাণে বিন্দু বিন্দু। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মধু খাওয়া যায় শুধু মধু, পানির সাথে মধু মিশিয়ে বা অন্য কোন ভেষজ গুণসম্পন্ন উদ্ভিদের সাথে মিশিয়ে।
মধু সমৃদ্ধ কয়েকটি ফুল-
কালো জিরা।
লীচু।
সরিষা।
ধনিয়া।
বড়ই।
মৌমাছি থেকে প্রস্তুতকৃত ঔষধ-
এপিস মেলিফিকা Apis-Melifica Homeopathy.
-কিছু মৌমাছিকে (Honey bearing bee) স্পিরিটে ভিজাইয়া টিংচার প্রস্তুত করিয়া তাহা হইতে যে ডায়ালিউশন প্রস্তুত করিয়া ব্যবহার করা হয় তাহাকে এপিস-মেলিফিকা বলে।
এপিয়ম-ভিরস Alium Virus.
একটি মৌচাকের নীচে একটি পাত্র রাখিয়া মৌচাকে ঘা দিলে মৌমাছিরা চাকের চারিদিকে উড়িতে থাকে ও নিকটস্থ পাত্রে বসিয়া উহা কামড়াতে যায় এবং তাহাতে তাহাদের শরীরস্থ বিষ সেই পাত্রে পড়িতে থাকে সেই বিষ সংগ্রহ করিয়া এলকোহলে মিশাইয়া যে টিংচার প্রস্তুত হয় তাহা এপিয়ম-ভিরস।
জন্মের পর ক্ষুদ্র নবজাতক শিশুর মুত্র না হইলে বৃদ্ধ স্ত্রীলোকেরা মৌচাকের নিকটে গিয়া কয়েকটি মৌমাছি ধরিতেন এবং তাহাদের উপর গরম পানি ঢালিয়া দিয়া সেই পানির এক চামচ শিশুকে খাওয়াইয়া দিতেন তাহাতেই শিশু আরোগ্য হইত।
এপিস স্ত্রী এবং পুরুষ উভয়ের জননেন্দ্রিয়ের সহিত ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ যুক্ত।
মোম- তাঁতের কাপড় তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। রাতে আলো জ্বালানোর জন্য মোমবাতি ও ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
তথ্যসূত্র-[azadqn@gmail.com]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন