RH

০৩ এপ্রিল ২০১৯

সুস্বাস্থ্যের জন্য জিরা।

জিরা- রান্নার কাজে ব্যবহৃত এক প্রকার মসলা।
মসলা-ব্যঞ্জনাদি(অন্ন) মুখরোচক করার জন্য ব্যবহৃত উপকরণ। রান্নার মসলা,পানের মসলা।
কোন দ্রব্য প্রস্তুতের উপকরণ। ইট-সিমেন্টের মসলা।
রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০১৯ শীতের প্রভাব এখনও যায়নি। রাতে এখনও মোটা কম্বল গায়ে নিতে হয় আমাদের এই পঞ্চগড়ে, অক্টোবর-নভেম্বর মাসে শীতের শুরু।
চাষাবাদ-ভুমি চষে বীজ বা চারা রোপণ, ফসল উৎপাদন।
জিরা শীতকালীন ফসল তবে অতিরিক্ত ঠান্ডা জিরার জন্য ভালো না। বীজ বপন করে জিরা তিন মাসের মধ্যে ফসল তুলে বাজার জাত করা যায়। আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে জিরা নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে রোপণ করা যায়।
জিরা উৎপাদনকারী দেশ ইরান, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, তুরস্ক, সিরিয়া, মরক্কো,চিন, রাশিয়া,ভারত, কাশ্মীর।
বাংলাদেশে নওগা, ফরিদপুর, নড়াইল, মাগুরা, বগুড়া।
শীতকালে আমার উঠান বাগানে আলু, রসুন, পেঁয়াজ, লেটুসপাতা, ধনিয়া ও মৌরি আলাদা আলাদা বেডে চাষ করতাম আমার বাবা সহ ১৯৮০-৮৯ সালে। ধনিয়া পানিতে একরাত ভিজিয়ে রেখে পরে পানি ফেলে দিয়ে শুধুমাত্র ধনিয়ার সাথে ছাই মিশিয়ে জমিতে ছিটিয়ে দেওয়া হতো এবং জমি বিকেলে হালকা ভিজিয়ে দেওয়া হতো ক-দিন পর চারা বের হতো আরও কিছু দিন পর সুন্দর ফুল-ফলও হতো কোন সার প্রয়োগ করা লাগতো না। জিরা এভাবে রোপণ করা যায় করে।
-জিরা ত্বক সুন্দর রাখে, বার্ধক্য রোধ করে।
-শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
-হজমশক্তি বাড়ায়।
-ওজন কমায়।
-পানি শুন্যতা দুর করে।
-রক্ত শুন্যতার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় (হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে)।
-শরীরের আয়রনের চাহিদা পূরণ করে (মাতৃকালীন)।
-কোস্টকাঠিন্য দূর করে।
-ঘুম ভালো হয়। -
-স্মৃতি শক্তি বাড়ায়।
শুধু জিরা এক চিমটি হাতে নিয়ে চিবিয়ে খেয়ে পরে পানি খেতে হয়।
জিরা ধুয়ে নিয়ে পিষে নিতে হয়।
জিরা উনুনে গরম করে ভেজে পিষে নিতে হয়।
জিরা চা-পাতার মতো করে গরম পানিতে দিয়ে ফুটিয়ে সেই পানিতে চিনি,বিট লবণ, মরিচ,গোল মরিচ, পুদিনা পাতা পরিমাণ মতো মিশিয়ে পান করা যায়।
বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির বোতল জাত জিরা পানি কিনতে পাওয়া যায়।
জিরার বার্ষিক লেনদেন প্রতিবেদন দেখলে জিরার ব্যবসা সকলেরই করার ইচ্ছা করবে।
কালো জিরা যৌবন ধরে রাখে-
কালো জিরা ও মধু নিয়মিত আহারে।
তথ্যসূত্র-[azadqn@gmail.com]

1 টি মন্তব্য: