বৈশাখ-বাংলা নববর্ষের প্রথম মাস।
নববর্ষ- নতুন বৎসর- বৎসরারম্ভ।
নববর্ষ- নতুন বৎসর- বৎসরারম্ভ।
সন- বৎসর, সাধারণত বাংলা বা হিজরি বর্ষগণনায় প্রযুক্ত বৎসর সংখ্যায় সন এবং খৃষ্টীয় বৎসর সংখ্যায় সাল ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যেমন-বাংলা ১৪২৬সন, খ্রিষ্টাব্দ ২০১৯ সাল।
চান্দ্র বৎসর- চাঁদের হিসেবে গণনা করা হয় এমন বৎসর। হিজরি চান্দ্র বৎসর।
চান্দ্র মাস- চন্দ্রের গতি দ্বারা নিকশিত মাস। এক নব চন্দ্রোদয় থেকে আরম্ভ করে অন্য নব চন্দ্রোদয় পর্যন্ত ঊনত্রিশ বা ত্রিশ দিনে চন্দ্র মাস হয়।
দ্বাদশ চান্দ্র মাসে সাধারণত ৩৫৫ দিন এক হিজরি বৎসর হয়।
চান্দ্র মাস- চন্দ্রের গতি দ্বারা নিকশিত মাস। এক নব চন্দ্রোদয় থেকে আরম্ভ করে অন্য নব চন্দ্রোদয় পর্যন্ত ঊনত্রিশ বা ত্রিশ দিনে চন্দ্র মাস হয়।
দ্বাদশ চান্দ্র মাসে সাধারণত ৩৫৫ দিন এক হিজরি বৎসর হয়।
সৌর বৎসর-৩৬৫দিন ০৫ঘন্টা ৪৮.৭৬৮মিনিটে পৃথিবী সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে এ সময় কে সৌর বৎসর বলা হয়।
প্রতি চন্দ্র বৎসর গণনার সঙ্গে সৌর বৎসর গণনার ১১ দিনের পার্থক্য ঘটে।
প্রতি চন্দ্র বৎসর গণনার সঙ্গে সৌর বৎসর গণনার ১১ দিনের পার্থক্য ঘটে।
এখানে দেখুন- bit.ly/33NprLg
তারিখ-ই-ইলাহি-
মোঘল সাম্রাজ্যের সময় খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে খাজনা আদায়কারী ও হিসাবরক্ষকগনের অনুরোধে সম্রাট আকবর ইরানি জোতিষ শাস্ত্রবিদ আমির ফতেহউল্লাহ সিরাজিকে নির্দেশ দেন নতুন বর্ষপঞ্জি তৈরির। সম্রাটের নির্দেশ পেয়ে আমির ফতেহউল্লাহ সিরাজি আরবি চান্দ্র বৎসর ও সৌর বৎসরের উপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সন প্রবর্তন করেন। ১৫৮৪ খৃষ্টাব্দের মার্চ মাসে এবং তা কার্যকর হয় ১৫৫৬খৃষ্টাব্দ/৯৬৩ হিজরি থেকে গ্রীস্ম, বর্ষা,শরৎ, হেমন্ত,শীত ও বসন্ত এই ছয়টি ঋতু নিয়ে। তারিখ-ই-ইলাহী, কৃষি বর্ষপঞ্জি,ফসলি সন'পরে বঙ্গাব্দ বাংলা নববর্ষ নামে পরিচিত হয়।
বাংলা একাডেমির পৃষ্ঠপোষকতায় মুহাম্মদ সহিদুল্লাহর (ভাষাবিদ) নেতৃত্বে নতুন করে সংস্কার কৃত দিনপঞ্জিটি এখন বাংলাদেশে ব্যবহৃত হচ্ছে।
রাত বারোটার পর থেকে বৎসরারম্ভ হয় বাংলা নববর্ষ।১বৈশাখ-বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন।
মোঘল সাম্রাজ্যের সময় খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে খাজনা আদায়কারী ও হিসাবরক্ষকগনের অনুরোধে সম্রাট আকবর ইরানি জোতিষ শাস্ত্রবিদ আমির ফতেহউল্লাহ সিরাজিকে নির্দেশ দেন নতুন বর্ষপঞ্জি তৈরির। সম্রাটের নির্দেশ পেয়ে আমির ফতেহউল্লাহ সিরাজি আরবি চান্দ্র বৎসর ও সৌর বৎসরের উপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সন প্রবর্তন করেন। ১৫৮৪ খৃষ্টাব্দের মার্চ মাসে এবং তা কার্যকর হয় ১৫৫৬খৃষ্টাব্দ/৯৬৩ হিজরি থেকে গ্রীস্ম, বর্ষা,শরৎ, হেমন্ত,শীত ও বসন্ত এই ছয়টি ঋতু নিয়ে। তারিখ-ই-ইলাহী, কৃষি বর্ষপঞ্জি,ফসলি সন'পরে বঙ্গাব্দ বাংলা নববর্ষ নামে পরিচিত হয়।
বাংলা একাডেমির পৃষ্ঠপোষকতায় মুহাম্মদ সহিদুল্লাহর (ভাষাবিদ) নেতৃত্বে নতুন করে সংস্কার কৃত দিনপঞ্জিটি এখন বাংলাদেশে ব্যবহৃত হচ্ছে।
রাত বারোটার পর থেকে বৎসরারম্ভ হয় বাংলা নববর্ষ।১বৈশাখ-বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন।
১বৈশাখের শোভাযাত্রা জাতিসংঘের ইউনেস্কোর 'সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের' স্বীকৃতি পেয়ে সারা বিশ্বে এখন পালিত হচ্ছে।
১বৈশাখ ও বৈশাখ মাস পঞ্চগড়ে কিভাবে পালিত হয় তা কিছুটা হলেও জানা যায় আমাদের পাড়ার জামাই আনসার আলীর গানে।
পন্চগড় করতোয়া নদীতে দেখা যেতো নদীর উজানে কিছু মানুষ ও ভাটিতে কিছু মানুষ একসাথে নদীর পানিতে নেমে হাতে মাছ ধরার সরঞ্জাম নিয়ে দুই দিক থেকে 'উজান-ভাটি'তাদের নির্ধারিত স্থান লক্ষ্য করে মাছ ধরতে ধরতে এগিয়ে আসতো এবং স্থানে এসে একসঙ্গে মাছ ধরতো বৈশাখের প্রথম দিনে নব বৈশাখে।
১বৈশাখ মিশন মেলা-
১৯৪৭ দেশভাগের আগে পঞ্চগড় সহ অনেক অঞ্চলের মানুষের সাথে ভারতের বিভিন্ন জায়গার মানুষের যোগাযোগ-যাতায়াত ও আত্মিয়তা ছিল আছে কিন্তু দেশভাগ ও স্বাধীনতা যুদ্ধের পর সিমান্ত সুরক্ষায় তা আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যায় এবং পাসপোর্ট ও ভিসা খরচ সবার পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠে না।
তাই বিজিবি ও বিএসএফের সিদ্ধান্তে দুই বাংলার মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে সিমান্তের নো-ম্যান্সল্যান্ডে ০১বৈশাখে।
আমরা বাংলা বর্ষপঞ্জি কিছুটা সংস্কার করেছি সেই জন্য আমাদের নববর্ষ একদিন আগে পালিত হয় ও ভারতের বর্ষপঞ্জি পূর্বের সূর্য সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এক দিন পর আমাদের যখন ০২দুই বৈশাখ সেদিন। এক বৈশাখে মিলন মেলায় লাখো মানুষ এসে ভিড় করে সিমান্তে ওপারের এক বৈশাখের অপেক্ষায়।
অনেক পীর ও আউলিয়া বসবাস করছেন পঞ্চগড় জেলায় বৈশাখে তাদের কিছুর বার্ষিক ওরস পালিত হয়। পঞ্চগড় আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর সংলগ্ন বারো আউলিয়ার মাজারের বার্ষিক ওরস পালিত হয় বৈশাখের শেষ বৃহস্পতিবার।
সময় নির্ধারনের মার্ধ্যম চাঁদ।
তথ্যসূত্র- ব্যবহারিক বাংলা অভিধান-বাংলা একাডেমী ঢাকা। ও [azadqn@gmail.com]
১বৈশাখ ও বৈশাখ মাস পঞ্চগড়ে কিভাবে পালিত হয় তা কিছুটা হলেও জানা যায় আমাদের পাড়ার জামাই আনসার আলীর গানে।
পন্চগড় করতোয়া নদীতে দেখা যেতো নদীর উজানে কিছু মানুষ ও ভাটিতে কিছু মানুষ একসাথে নদীর পানিতে নেমে হাতে মাছ ধরার সরঞ্জাম নিয়ে দুই দিক থেকে 'উজান-ভাটি'তাদের নির্ধারিত স্থান লক্ষ্য করে মাছ ধরতে ধরতে এগিয়ে আসতো এবং স্থানে এসে একসঙ্গে মাছ ধরতো বৈশাখের প্রথম দিনে নব বৈশাখে।
১বৈশাখ মিশন মেলা-
১৯৪৭ দেশভাগের আগে পঞ্চগড় সহ অনেক অঞ্চলের মানুষের সাথে ভারতের বিভিন্ন জায়গার মানুষের যোগাযোগ-যাতায়াত ও আত্মিয়তা ছিল আছে কিন্তু দেশভাগ ও স্বাধীনতা যুদ্ধের পর সিমান্ত সুরক্ষায় তা আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যায় এবং পাসপোর্ট ও ভিসা খরচ সবার পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠে না।
তাই বিজিবি ও বিএসএফের সিদ্ধান্তে দুই বাংলার মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে সিমান্তের নো-ম্যান্সল্যান্ডে ০১বৈশাখে।
আমরা বাংলা বর্ষপঞ্জি কিছুটা সংস্কার করেছি সেই জন্য আমাদের নববর্ষ একদিন আগে পালিত হয় ও ভারতের বর্ষপঞ্জি পূর্বের সূর্য সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এক দিন পর আমাদের যখন ০২দুই বৈশাখ সেদিন। এক বৈশাখে মিলন মেলায় লাখো মানুষ এসে ভিড় করে সিমান্তে ওপারের এক বৈশাখের অপেক্ষায়।
অনেক পীর ও আউলিয়া বসবাস করছেন পঞ্চগড় জেলায় বৈশাখে তাদের কিছুর বার্ষিক ওরস পালিত হয়। পঞ্চগড় আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর সংলগ্ন বারো আউলিয়ার মাজারের বার্ষিক ওরস পালিত হয় বৈশাখের শেষ বৃহস্পতিবার।
সময় নির্ধারনের মার্ধ্যম চাঁদ।
তথ্যসূত্র- ব্যবহারিক বাংলা অভিধান-বাংলা একাডেমী ঢাকা। ও [azadqn@gmail.com]