রত্ন সবাই ধারণ করতে পারে না কারণ এ রত্ন বলেই। সহজ লভ্য নয় তাই অনেকেরই স্বপ্ন বা আশা থেকেই যায় মূূূল্যবান রত্ন পাথর কেনার। পাহাড়, নদী, সাগর, মরুভূমি, সমতল ভূমি থেকে রত্ন পাথর আহরণ করা হয়। আবার কিছু শিলা আকাশে রক্ষিত শিলা স্তূপ থেকে বর্ষিত হয়।
পাথর- শিলা।রত্ন- বহু মূল্য দ্রব্যাদি,জহরত। উৎকৃষ্ট বস্তূ।
করকা- মেঘ থেকে পতিত শিলা।
Gemstone-a Precious or semi-Precious stone specially one cut, polished and used in a piece of jewelry.
পৃথিবীতে আমরা তিনটি পাথরের অলৌকিকতা সম্বন্ধে জানি।
ক)আসওয়াদ,সাহাবি পাথর।
খ)যে পাথর হযরত মুসা(আ:) এর কাপড় নিয়ে চলে গিয়েছিল।
গ)হযরত সুলাইমান(আঃ) এর আংটির পাথর।
আমার একটা আকিক পাথরের তসবিহ আছে সেটা যেদিন আমি গলায় পড়ি সেদিন আমার সর্দি এসে যায়। আমাদের সোনা-রুপা পরিধানের কিছু বাধ্যবাধকতা আছে সৌন্দর্য বৃদ্ধি এবং ভূষনে।
জন্মমাস অনুসারে পাথর ধারনের নিয়ম-
বৈশাখ মাসে জন্ম হলে-রক্তপ্রবাল,স্টাররুবী,চুন্নী।
জৈষ্ঠ-পান্না,ওপাল।
আষাঢ়-নীলা,পোখরাজ, গোমেদ,টোপাজ।
শ্রাবণ-ওপাল, ক্যাটস আই,মুক্তা,মুনস্টোন।
ভাদ্র-ফিরোজা, গোমেদ,গারনেট।
আশ্বিন-হীরা,পান্না,জারকোন,টোপাজ,মুক্তা।
কার্তিক-নীলা,ফিরোজা,ওপাল,পান্না,ওনেক্স।
অগ্রহায়ণ-স্টার রুবী,চুন্নী,গোমেদ,ক্যাটস আই।
পৌষ-নীলা,হীরা।
মাঘ-নীলা,জারকোন,এমিথিষ্ট।
ফাল্গুন-নীলা,ক্যাটস আই,এমিথিষ্ট,প্রবাল।
চৈত্র-নীলা,ওপাল,মুনস্টোন।
পাথর নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। সোনা রুপা যাচাই করার জন্য যেমন মূল্যবান কষ্টি পাথরের প্রয়োজন হয় তেমনি শরীর সুস্থ রাখার জন্যও পাথরের ব্যবহার হচ্ছে এবং মূল্যবান পাথরের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিছু পাথর কাঁচ এর মতো স্বচ্ছ আবার কিছু পাথর অ-স্বচ্ছ।
হৃদরোগ হলে-পোখরাজ, মুক্তা।
বুদ্ধি বৃদ্ধির জন্য-নীলা,প্রবাল,চুন্নী,স্টাররুবী, গোমেদ।চোখের জন্য-নীলা,প্রবাল,এমিথিষ্ট।প্রসাবের সমস্যায়-হীরা,জারকোন,নীলা,রক্তপ্রবাল, পান্না-ওনেক্স।
ক্যান্সার হলে-নীলা,মুক্তা,প্রবাল, পান্না,গোমেদ।
স্ত্রী রোগে-হীরা,জারকোন, ক্যাটস আই,প্রবাল, ফি'রোজা।
পঞ্চগড় একসময় বিখ্যাত ছিল উৎকৃষ্ট মুক্তা চাষের জন্য এ অঞ্চলের ভুতাত্বিক বৈশিষ্ট্যের কারণে।