বাংলাদেশ নদী মাতৃক দেশ। নদী, হাওড়, খাল, বিল বিভিন্ন রকম জলাশয় হাঁস পালনের জন্য উপযোগী। চরাঞ্চলে অনেক মানুষ আছে যারা শুধু হাঁস ও পাখির ডিম সংগ্রহ করে অর্থ সঞ্চয় করে। পৃথিবীতে বিভিন্ন জাতের হাঁস রয়েছে। দেশি হাঁস বৎসরে ৭০-৯০টি ডিম পাড়ে এবং উন্নত জাতের একটি হাঁস বৎসরে ৩০০ পর্যন্ত ডিম দিয়ে থাকে। আমার ভাইয়ের ছেলে ইন্ডিয়া থেকে লেখাপড়া শিখে এসে বাড়ির সামনে পুকুরে হাঁস চাষ বা হাঁস পালন শুরু করলো সবাই অবাক আমি বললাম বেশ ভালো কিছু দিন পর তার একহাজার হাঁস দৈনিক সাড়ে সাত শত ডিম পাওয়া যেতো আরও কিছু দিন পর তার আড়াই হাজার হাঁস হলো বড় সুন্দর পরিবেশ তখন পুকুর পাড়ের হাঁসের খামারের। অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে হাঁস পালনে ডিম ও মাংস এবং সৌন্দর্য ও মনের শান্তির জন্য লালন পালন।
ডিমের জন্য হাঁস চাষ বা পালনে খাকী ক্যাম্পবেল ও ইন্ডিয়ান রানার। খাকী ক্যাম্পবেল ডিম উৎপাদনের জন্য ভালো জাত গায়ের রং খাকী ও সাদা। ইন্ডিয়ান রানারও ভালো ডিম পাড়ে তিন ধরনের ইন্ডিয়ান রানার এর মধ্যে সাদা ইন্ডিয়ান রানার খামারিরা বেশি ক্রয় করে।
পিকিন হাঁস মাংস উৎপাদক হাঁস এর মাংস সুস্বাদু। পিকিন হাঁস খুব তাড়াতাড়ি বাড়ে ভালো খাবার সরবরাহে এই জাত কয়েক সপ্তাহে দুই-তিন কেজি ওজনের হয়ে থাকে। পিকিন হাঁসকে অনেকেই বেজিং হাঁসও বলে।
শীত মৌসুমে আমাদের দু-চারটা হাঁস না খেলে মনে একটা কি যেন না খাওয়ার অনুভূতি থেকেই যায়। আবার অনেক মুরব্বি শারীরিক অসুস্থতায় হাঁস খাওয়ার পরামর্শও দিয়ে থাকেন।
হাঁস
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন