পঞ্চগড় থেকে দিনাজপুর সেখান থেকে তেঘরা মল্ল্যাহ পাড়া/ডাক্তার পাড়া এবং সেখান থেকে দিনাজপুরের বিভিন্ন জায়গায় চাচাতো-ফুফুতো ভাইদের নিয়ে সাইকেল ভ্রমণ ১৯৮৯ এর আগে। রামসাগর দিঘি দিনাজপুরের মেঘলা থেকে বেশি দূরে না তবে এক সাইকেলে দুই-তিন জন ভ্রমণ একটু কষ্টের তবে আনন্দের কখন দিন শেষে সন্ধ্যা আসে বুঝাই যায় না-যখন যায় তখন পেট খাবার খোঁজে। আমরা দিনাজপুর মেঘলা থেকে সাইকেল চালিয়ে রামসাগর দিঘিতে গোসল করে বাসায় এসে দুপুরের খাবার সন্ধায় একটু আগে খেতাম! বাড়িতে তখন প্রশ্ন কুঠে গেছিলেন?
রামসাগর দিঘি দিনাজপুরের পুলহাট পেরিয়ে মহব্বত পুর সংলগ্ন। রামসাগর দিঘি অনেক পুরনো হিসাবে তা কয়েক শত বছর পার।
দিনাজপুর মিউজিয়ামের গ্রন্থাকার মেহেরাব আলী লিখেছেন,জুলাই ১৯৬৯ - দিনাজপুরের প্রধান তিনটি ঐতিহাসিক স্থান দিনাজপুর রাজবাটি, কান্তজীর মন্দির ও রামসাগর। বছরে শত সহস্র দেশী ও বিদেশী পর্যটক এসব কীর্তি দেখতে আসেন। রাজার কীর্তি দেখতে এসে তারা স্বভাবতঃ কৌতুহল প্রকাশ করেন রাজাদের ইতিহাস জানতে।
দিনাজপুর রাজবংশের ইতিহাস গ্রন্থে তিনি রামসাগরের উপকথায় লিখেছেন- রাজা রামনাথ সুপ্রসিদ্ধ রামসাগর দিঘি খনন করেন। আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন এই রামসাগরের কথা শুধু ঐতিহাসেই প্রসিদ্ধ নয়, দিনাজপুরের গ্রামাঞ্চলের প্রচলিত বিভিন্ন কথা কাহিনীতেও এই দিঘীর ঐতিহ্য সুপরিচিত।
মধ্যযুগের এক খেয়ালী রাজার খনিত রামসাগর দিঘী-খেয়ালী নয় বরং এক পরম বাস্তববাদী রাজার অমর কীর্তি এই রামসাগর। তাই আজ বাস্তববাদী জগতের আন্তর্জাতিক মানুষের এতো আনাগোনার ভীড় জমে উঠেছে রামসাগর তীরে।
বর্তমানে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো। দিনাজপুর বাসটার্মিনাল বা শহরের যেকোনো স্থান থেকে ব্যাটারি চালিত যান-বাহনে চড়ে নিজেদের সময়ে যে কোনো দিন দেখে আসা যায় মহব্বত পুরের ঐতিহাসিক রামসাগর দিঘি।
তথ্যসূত্র-
দিনাজপুর রাজবংশের ইতিহাস -মেহেরাব আলী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন