প্রাইজবন্ড হচ্ছে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত একটি সুদ মুক্ত বিনিয়োগ পদ্ধতি। এ বন্ড বিক্রয়ের মাধ্যমে সরকার দেশের আভ্যন্তরীণ ব্যয় সংস্থান করে থাকে। ১৯৭৪ খৃষ্টাব্দে জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তর দেশের সাধারণ মানুষের মাঝে সঞ্চয় প্রবনতা সৃষ্টির লক্ষে ১০ ও ৫০ টাকা মূল্য মানের প্রাইজবন্ড চালু করে যা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও পোস্ট অফিসে পাওয়া যেত। দেশের সাধারণ মানুষ তা সঞ্চয় করে রাখতো এবং নিজেদের জরুরি প্রয়োজনে তা ব্যাংক, ডাকঘর বা সঞ্চয় অফিসে গিয়ে তা নগদে ক্যাশ বুঝে নিত-নেয়। প্রাইজবন্ড উপহার হিসেবে দিয়ে এই জীবনে বহু বিয়ের অনুষ্ঠান, জন্মদিন,সুন্নতে খাৎনা, এবং বাৎসরিক দৈনন্দিন খরচের হালখাতার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে আমি আর্থিক সংকট থেকে মুক্তি লাভ করি। ১৯৯৫ সালে ১০ ও ৫০টাকা মূল্য মানের প্রাইজবন্ডের পরিবর্তে দেশে এখন ১০০টাকা মূল্য মানের প্রাইজবন্ড চালু আছে যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে গভর্নর বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক স্বাক্ষরিত।
প্রাইজবন্ড |
তিন মাস অন্তর অন্তর শেষ কর্মদিবসে প্রাইজবন্ডের ড্র অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে সে হিসেবে বৎসরে চারবার-
৩১ জানুয়ারি।
৩০ এপ্রিল।
৩১ জুলাই।
৩১ অক্টোবর এবং প্রাইজবন্ড ড্র ফলাফল সাপ্তাহিক ছুটি গন্যকরে পরবর্তী মাসের প্রথম তারিখে জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত করা হয়।
অনলাইন ব্যবস্থাও আছে গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে প্রাইজবন্ড চেকার লিখে সার্চ দিলে বিভিন্ন প্রাইজবন্ড চেকার/এপস পাওয়া যায়।
প্রথম পুরস্কার ০১টি ০৬ লক্ষ টাকা।
দ্বিতীয় পুরস্কার ০১টি ০৩ লক্ষ ২৫হাজার টাকা।
তৃতীয় পুরস্কার ০২টি ০১ লক্ষ টাকা।
চতুর্থ পুরস্কার ০২টি ৫০হাজার টাকা।
পঞ্চম পুরস্কার ৪০টি ১০ হাজার টাকা।
লটারিতে ভাগ্য যাচাই নিষেধ আছে।
প্রাইজবন্ডের পুরস্কারের অর্থ কর মুক্ত নয় ১৯৯৯ খৃষ্টাব্দের জুলাই থেকে প্রাইজবন্ডের পুরস্কারের অর্থের উপর বিশ শতাংশ হারে উৎসে আয়কর কাটার বিধান রাখা হয়েছে।
১০১ তম ড্র হয়েছে ০১ নভেম্বর ২০২০।
৯৭ তম ড্র হয়েছে ৩১ অক্টোবর ২০১৯ বৃহস্পতিবার।
তথ্যসূত্র- [azadqn@gmail.com]
সমকাল- বুধবার ০১ নভেম্বর ২০১৭।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন