মুসাদ্দাদ(র) আবু বাকরা(রা) থেকে বর্নিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি বলেছেন দুটি মাস কম হয় না। তা হল ঈদের দু'মাস- রমযানের মাস ও জুলহজ্জের মাস। আবু আব্দুল্লাহ (র) বলেছেন, আহমাদ ইবন হাম্বল(র) বলেন, রমযান মাস ঘাটতি হলে যুলহজ্জ পূর্ণ হবে আর যুলহজ্জ ঘাটতি হলে রমযান পূর্ণ হবে। আবুল হাসান (র) বলেন, ইসহাক ইবন রাওয়াই(র) বলেন,ফযীলতের দিক থেকে এ দুই মাসে কোন ঘাটতি নেই, মাস ঊনত্রিশ দিনে হউক বা ত্রিশ দিনে হোক।
বুখারী হাদীস-ইফা।
রবী ইবন ইয়াহইয়া (র) আয়শা (রা) থেকে বর্নিত তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন এক ব্যক্তিকে মসজিদে নববীতে কুরআন পাঠ করতে শুনলেন, তিনি বললেন, তার প্রতি আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক, সে আমাকে অমুক অমুক সূরার অমুক আয়াত স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।
বুখারী হাদীস, ফাযায়িলুল কুরআন অধ্যায়, অষ্টম খন্ড-ইফা।
কুরআনুল হাকীম সূরা বাকারা, আয়াত ১৮৫।
শান্তিই শান্তি লাইলাতুল কাদর এর রাতে স্বচ্ছ আকাশে রহমতের বর্ষন ফজরে। এই রাতের বৈশিষ্ট্য এই যে ভুলিয়ে দেওয়া তাই নিশ্চিত ভাবে কেহই জানাতে পারেননা রমজান মাসের কোন দিন। সন্ধান করতে তালাশ করতে বলা হয়েছে তাই তালাশ করি এবং সাহায্য চাই আল্লাহ তায়ালার কাছে। আল কুরআনুল হাকীম ১১০ সূরা নাসর।
বুখারী হাদীস-ইফা।
রবী ইবন ইয়াহইয়া (র) আয়শা (রা) থেকে বর্নিত তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন এক ব্যক্তিকে মসজিদে নববীতে কুরআন পাঠ করতে শুনলেন, তিনি বললেন, তার প্রতি আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক, সে আমাকে অমুক অমুক সূরার অমুক আয়াত স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।
বুখারী হাদীস, ফাযায়িলুল কুরআন অধ্যায়, অষ্টম খন্ড-ইফা।
কুরআনুল হাকীম সূরা বাকারা, আয়াত ১৮৫।
শান্তিই শান্তি লাইলাতুল কাদর এর রাতে স্বচ্ছ আকাশে রহমতের বর্ষন ফজরে। এই রাতের বৈশিষ্ট্য এই যে ভুলিয়ে দেওয়া তাই নিশ্চিত ভাবে কেহই জানাতে পারেননা রমজান মাসের কোন দিন। সন্ধান করতে তালাশ করতে বলা হয়েছে তাই তালাশ করি এবং সাহায্য চাই আল্লাহ তায়ালার কাছে। আল কুরআনুল হাকীম ১১০ সূরা নাসর।
ইয়াহইয়া (র) ইয়াহইয়া ইবন আবূ কাসীর (র) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, আমি আবূ সালামা ইবন আবদুর রহমান (র) কে কুরআনুল হাকীম এর কোন আয়াতটি সর্বপ্রথম নাযিল হয়েছে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন ,,, প্রথম নাযিল হয়েছে। আমি বললাম, লেকেরা তো বলে 'ইকরা ,,, প্রথম নাযিল হয়েছে। তখন আবূ সালামা বললেন, আমি এ বিষয়ে জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা) কে জিজ্ঞেস করেছিলাম এবং তুমি যা বললে আমিও তাকে হুবহু তাই বলেছিলাম। জবাবে জাবির (রা) বলেছিলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে যা বলেছিলেন, আমিও অবিকল তাই বলব। তিনি বলেছেন, আমি হেরা গুহায় ই'তিকাফ করতে আরম্ভ করলাম। আমার ই'তিকাফ শেষ হলে আমি সেখান থেকে অবতরণ করলাম। তখন আমাকে আওয়াজ দেওয়া হল। আমি ডানে তাকালাম; কিন্ত কিছু দেখতে পেলাম না, বামে তাকালাম, কিন্ত এদিকেও কিছু দেখলাম না । এর পর সামনে তাকালাম; এদিকেও কিছু দেখলাম না। এর পর পেছনে তাকালাম, কিন্ত এ দিকেও আমি কিছু দেখলাম না। অবশেষে আমি উপরের দিকে তাকালাম, এবার একটা বস্তু দেখতে পেলাম। এর পর আমি খাদিজা (রা) এর কাছে এলাম এবং তাকে বললাম, আমাকে বস্ত্রাচ্ছাদিত কর এবং আমার শরীরে ঠান্ডা পানি ঢাল। তিনি বললেন, তারপর তারা আমাকে বস্ত্রাচ্ছাদিত করে এবং ঠান্ডা পানি ঢালে। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এর পর নাযিল হল: হে বস্ত্রাচ্ছাদিত! উঠ, সতর্কবানী প্রচার কর এবং তোমার প্রতিপালকের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর।
বুখারী হাদীস,তাফসীর অধ্যায়,অষ্টম খণ্ড- ইফা।
মুহাম্মদ ইবন বাশশার (র) আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, সূরা বনী ইসরাঈল, কাহফ, মরিয়ম, ত্বাহা এবং আম্বিয়া প্রথমে অবতীর্ণ অতি উত্তম সূরা।
বুখারী হাদীস,তাফসীর অধ্যায়, অষ্টম খণ্ড-ইফা।
ইসহাক ইবন নাসর(র) আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তা'আলা বলেন, আমি আমার নেক বান্দাদের জন্য এমন সব জিনিস তৈরি করে রেখেছি, সঞ্চিতরুপে যা কোন নয়ন দর্শন করেনি, কোন কর্ণ শ্রবণ করেনি এবং কোন ব্যক্তির মনেও তার কল্পনা সৃষ্টি হয়নি। আর যা তোমাদের অবহিত করা হয়েছে, তা ছাড়া। তারপর এ আয়াত পাঠ করলেন, কেউ জানেনা তাদের জন্য নয়ন শীতলতকারী কি লুকায়িত রাখা হয়েছে, তাদের কৃতকর্মের পুরস্কার স্বরূপ।
৩২ সূরা সাজদা, আয়াত ১৭ কুরআনুল হাকীম।
বুখারী হাদীস, তাফসীর অধ্যায়, অষ্টম খণ্ড-ইফা।
উবায়দুল্লাহ্ ইবন মূসা (র) আবু সালমা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আয়শা (রা) ও ইবন আব্বাস (রা) বলেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কায় দশ বছর অবস্থান করেন। এ সময় তাঁর প্রতি কুরআন নাযিল হয়েছে এবং মদীনাতেও তিনি দশ বছর অবস্থান করেন ( এ সময়ও তাঁর প্রতি দশ বছর কুরআন নাযিল হয়েছে)।
খালিদ ইবন ইয়াযীদ(র) আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রতি বছর জিবরঈল (আঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে একবার কুরআন শরীফ দাওর করতেন। কিন্তু যে বছর তিনি ওফাত লাভ করেন সে বছর তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম- এর সঙ্গে দু'বার দাওর করেন। প্রতি বছর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানে দশদিন ই'তিকাফ করতেন। কিন্তু যে বছর তিনি ওফাত লাভ করেন সে বছর তিনি বিশ দিন ই'তিকাফ করেন।
খালিদ ইবন ইয়াযীদ(র) আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রতি বছর জিবরঈল (আঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে একবার কুরআন শরীফ দাওর করতেন। কিন্তু যে বছর তিনি ওফাত লাভ করেন সে বছর তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম- এর সঙ্গে দু'বার দাওর করেন। প্রতি বছর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানে দশদিন ই'তিকাফ করতেন। কিন্তু যে বছর তিনি ওফাত লাভ করেন সে বছর তিনি বিশ দিন ই'তিকাফ করেন।
বুখারী হাদীস, ফাযায়িলুল কুরআন অধ্যায়, অষ্টম খন্ড-ইফা।
➡️ ০৩,
দরুদ পাঠ-
আরবী উচ্চারণ- আল্লহুম্মা স্বল্লি আলা মুহাম্মদ, ওয়া আলা আলি মুহাম্মদ কামা স্বল্লাইতা আলা ইব্রাহীম, ওয়া আলা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ, আল্লহুম্মা বারিক আল মুহাম্মদ, ওয়া আলা আলি মুহাম্মদ কামা বারকতা আলা ইব্রাহীম, ওয়া আলা আলি ইব্রাহীম ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।
বাংলা উচ্চারণ- হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার পরিবারবর্গের উপর রহমত বর্ষণ কর, যেভাবে রহমত বর্ষণ করেছ ইব্রাহীম (আ) ও তার পরিবারবর্গের প্রতি। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসিত ও সম্মানিত। হে আল্লাহ! বরকত অবতীর্ণ কর মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার পরিবারবর্গের উপর, যেভাবে তুমি বরকত নাযিল করেছ ইব্রাহীম (আ:) ও তার পরিবার- পরিজনের প্রতি। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসিত ও সম্মানিত।
সিয়াম পালন ও দিন- রাত্রির পর্যালোচনা-
১৪৪৪- ২০২৩ শুক্রবার আসরের নামাজের পর বৃষ্টি হয়েছে।
২০২৪-০৩-১২
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন