আমার পিতা আনিছুর রহমান ষাট এর দশকে দিনাজপুর থেকে পঞ্চগড়ে আসেন সড়ক/পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদারি কাজের জন্য রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও অঞ্চলের বিভিন্ন কাজ তিনি করছেন এবং তিস্তা ব্যারেজ এর প্রাক আলোচোনায় ও তিনি অংশগ্রহণ করেছিলেন। জীবনের জন্য জীবিকার প্রয়োজনে আসা তারপর এ অঞ্চলে বিয়ে 'আউলিয়া রাইসমিল' এর স্বত্বাধিকারীর সহযোগিতায় এবং বিয়ে পরবর্তীতে বাড়ি তৈরির প্রয়োজনীয়তায় ১৯৭৫খৃষ্টাব্দে এক খন্ড জমি ক্রয় করে ১৯৭৯ খৃষ্টাব্দে বাড়ি বানিয়ে সেই বাড়ি মেরামত কালে তার ঠিকাদারি কাজের মিরগড় অঞ্চলের শ্রমিকগণ ঘরের খুঁটি পরিবর্তনের সময় মাটির তিন-চার ফুট গভীরে শক্ত কিছুর অস্তিত্ব পেয়ে তা তুলে নেন এবং ছড়ানো অবস্থায় সীমানা পিলারের অব্যবহৃত এ নাম ফলক গুলো খুজে পান। তিনি বলেন, এগুলো ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় PAK বুঝাতে বর্তমান বাংলাদেশ এবং IND ইন্ডিয়া যা একটি পিলারে দুটি দেশের প্রান্ত সীমানা নির্ধারণ করে।
চারকোনা তীর আকৃতির এক ইঞ্চির একটু বেশি দীর্ঘ ছয় পায়া বিশিষ্ট ১০ ইঞ্চি লম্বা ০৬ ইঞ্চি চওড়া ও এক ইঞ্চির ১০এর ০৫ ভাগ পুরু/উচ্চতার এই ফলক গুলো সিমেন্ট,ইট,পাথর,বালুর(চুন-সরকি) জমিতে কিছুটা উচ্চতায় সীমান্তে নিজ নিজ সীমায় স্থাপন করা হয় দেশ বিভাগের সময় ১৯৪৭ সালে।
১৮৮১ সালে রাজশাহীতে "রেন উইক এন্ড কোম্পানী প্রাইভেট লিমিটেড" নামে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৮৯৬ সালে আরও একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কারখানা কুষ্টিয়াতে প্রতিষ্ঠিত হয় এই কারখানা গুলোতে আখ পোড়াইয়ের এর কল,গুড় জ্বাল দেওয়ার পাত্র ছাড়াও বস্ত্র,তেল ও চাল কলের বিভিন্ন ইন্জিন ও খুচরা যন্ত্রাংশ তৈরি করা হতো।
মানচিত্র- আয়তনাদি জ্ঞাপক নকশা। কোন নির্দিষ্ট স্কেল ও অভিক্ষেপের দ্বারা সমতল উপরিভাগ বা কাগজের উপর সমগ্র পৃথিবী বা পৃথিবীর কোন প্রতিরুপকে প্রচলিত সাংকেতিক চিহ্নের মাধ্যমে অংকনই মানচিত্র।
স্ট্রিপম্যাপ- বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকার অর্ধ মাইল এলাকা জুড়ে তৈরি করা বিশদ তথ্য সংবলিত মানচিত্র স্ট্রিপম্যাপ(সুক্ষ রেখা ভিত্তিক মানচিত্র) এ মানচিত্রের স্কেল ১৬ ইঞ্চিতে এক মাইল।
স্কেল- রেখার পরিমাপই স্কেল। মানচিত্রের দুটি স্থানের দূরত্ব এবং ভূমির উপরিস্থ উহাদের প্রকৃত দূরত্বের সম্পর্কই স্কেল,দূরত্বের অনুপাত।
To be continue...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন